‘মুদ্রানীতির কঠোর বাস্তবায়ন আর্থিক খাতকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবে’
মুদ্রানীতির কঠোর বাস্তবায়ন বেসরকারি ও আর্থিক খাতকে ঘুরে দাড়াতে সহায়তা করবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার।
বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল রোববার ২০২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় পর্বের (জানুয়ারি-জুন ২০২৩) মুদ্রানীতি ঘোষণা করে। মুদ্রানীতি নিয়ে ঢাকা চেম্বারের পক্ষ থেকে ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, মুদ্রানীতির কঠোর বাস্তবায়নই বেসরকারি ও আর্থিক খাতকে ঘুরে দাড়াতে সহায়তা করবে। মুদ্রানীতিটির মূল্য লক্ষ্য হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল করা।
তিনি বলেন, সরকারি খাতের ঋণ প্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোয় বেসরকারি খাতে নতুন ঋণ প্রবাহ ও বিনিয়োগকে সংকুচিত করতে পারে। সরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কমানোর লক্ষ্যে সরকারকে সুশাসন নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং পাশাপাশি সরকারি ব্যয় হ্রাস করতে হবে।
তিনি মনে করেন, ভোক্তা পর্যায়ে ঋণের সুদের হারের সীমা শিথিল করার প্রস্তাব এবং সঞ্চয়ের ওপর সুদহারের সীমা প্রত্যাহার করার ফলে ব্যাংকিং খাতে সঞ্চয় ও তারল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
তিনি বলেন, যে সব এলসির মূল্য ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি সেগুলো তদন্ত করে পরিশোধ করা গেলে তা অর্থ পাচার রোধে সহায়ক হবে। তবে বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি মার্জিনের শর্তাবলী শিথিল করতে হবে এবং মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে এলসি মার্জিনের শর্তাবলী শিথিল করলে তা স্থানীয় ও রপ্তানিমুখী শিল্পের উৎপাদনকে তরান্বিত করবে।
ব্যারিস্টার সাত্তারের প্রত্যাশা ছিল, নন-পারফর্মিং লোন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও কিছু গঠনমূলক উদ্যোগ নেবে। কারণ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য নন-পারফর্মিং লোন কমানো ও সুশাসন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। কিভাবে নান-পারফর্মিং লোন কার্যকর ভাবে কমানো যায় সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আরও সুনির্দিষ্ট এবং স্পষ্ট নির্দেশনা থাকলে তা মুদ্রানীতির জন্য সহায়ক হতো বলে তিনি মনে করেন।
Comments