রেমিট্যান্স বাড়ছে, চাপে থাকা অর্থনীতিতে কিছুটা স্বস্তি

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, চলতি জুনের প্রথম ২৫ দিনে প্রবাসীদের কাছ থেকে স্বজনরা ২ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার পেয়েছেন। এটি গত বছরের একই মাসের প্রথম ২৩ দিনে পাওয়া ১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ৫৭ শতাংশ বেশি।
রেমিট্যান্স
প্রবাসী শ্রমিক। ছবি: এএফপি ফাইল ফটো

দেশ-বিদেশের অর্থনীতি যখন সংকটে, তখন গত কয়েক মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স বেশি পরিমাণে আসার সংবাদ নিঃসন্দেহে নতুন করে আশা জাগাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, চলতি জুনের প্রথম ২৫ দিনে প্রবাসীদের কাছ থেকে স্বজনরা ২ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার পেয়েছেন। এটি গত বছরের একই মাসের প্রথম ২৩ দিনে পাওয়া ১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ৫৭ শতাংশ বেশি।

এ মাসে পাওয়া রেমিট্যান্স গত ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং মার্চে আসা রেমিট্যান্সের সমান। তবে জুনের শেষ ৫ দিনে যদি রেমিট্যান্স প্রবাহ সামান্য বেড়ে যায়, তাহলে ২ বছরের মধ্যে এটি হবে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আয়।

গত বছরের ১ জুলাই থেকে এ বছরের ২৫ জুনের মধ্যে মোট রেমিট্যান্স আয় হয়েছে ২১ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। এটি আগের অর্থবছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এটি গত অর্থবছরের মোট ২১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলারকে ছাড়িয়ে গেছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাক্কলন করা ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তুলনায় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিঃসন্দেহে অনেক বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ মুদ্রানীতি ঘোষণায় বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স আয় হবে ২১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার।

রেমিট্যান্স প্রবাহ সাধারণত ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মতো বড় উৎসবের আগে বেড়ে যায়। কারণ প্রবাসীরা তাদের পরিবারকে ঈদ উত্সব উদযাপনের জন্য অর্থ পাঠান।

আগামী বৃহস্পতিবার দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। ঈদে প্রায় এক কোটি পশু কোরবানি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স এমন সময় এলো যখন সরকার বলছে ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ১০ লাখ ৭৪ হাজার শ্রমিক বিদেশে গিয়েছেন। এই সংখ্যা এক বছরে সর্বোচ্চ।

সম্প্রতি, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ জুনের মধ্যে বিদেশে যাওয়া শ্রমিকের সংখ্যা এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১-২২ সালে ৯ লাখের বেশি শ্রমিক বিদেশে গিয়েছিলেন।

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে এই Remittance rebounds লিংকে ক্লিক করুন

Comments