বাজারে আসছে টয়োটা-বিএমডব্লিউর হাইড্রোজেনচালিত গাড়ি

বিএমডব্লিউর বার্তায় বলা হয়েছে, হাইড্রোজেনচালিত গাড়ির উন্নয়নে তারা টয়োটার সহযোগিতা নেবে।
হাইড্রোজেনচালিত গাড়ি
জাপানে টয়োটার মিরাই হাইড্রোজেন গাড়ি। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

জাপানের টয়োটার ফুয়েল সেল প্রযুক্তি নিয়ে জার্মানির বিএমডব্লিউ প্রথমবারের মতো বাজারে আনছে হাইড্রোজেনচালিত গাড়ি।

আগামী ২০২৮ সালে টয়োটা-বিএমডব্লিউর হাইড্রোজেনচালিত গাড়ি বাজারে আনার জন্য উৎপাদন ব্যাপক হারে বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

বর্তমানে জলবায়ু পরির্বতনের বিষয়টি সারাবিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় বিকল্প জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেনের ব্যবহার নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। তবে এই প্রযুক্তি এখনো বেশ ব্যয়বহুল। এর অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে।

বিএমডব্লিউর বার্তায় বলা হয়েছে, হাইড্রোজেনচালিত গাড়ির উন্নয়নে তারা টয়োটার সহযোগিতা নেবে।

গাড়ির দাম কমিয়ে আনতে ও আগামী প্রজন্মের জ্বালানি প্রযুক্তি সহজলভ্য করতে বিএমডব্লিউ ও টয়োটা যৌথভাবে কাজ করবে।

বিএমডব্লিউ গাড়ির মডেল তৈরি করবে এবং টয়োটা দেবে প্রযুক্তিগত সহায়তা। এরপরও বিশ্বখ্যাত এই গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান দুটি নিজস্ব ব্র্যান্ড পরিচিতি ধরে রাখবে।

২০১৪ সালে টয়োটা প্রথম হাইড্রোজেনচালিত গাড়ি 'মিরাই' বাজারে আনে। কিন্তু প্রতিবছর এর বিক্রি কয়েক হাজারের মধ্যে আটকে আছে।

টয়োটার প্রেসিডেন্ট কোজি সাতো সংবাদ সংস্থাটিকে বলেন, 'গাড়ি নিয়ে টয়োটা ও বিএমডব্লিউর আগ্রহ একই রকম। এই প্রতিষ্ঠান দুটি মনে করে প্রযুক্তি সবার জন্য। কার্বন দূষণ কমাতে আমরা নানাভাবে কাজ করতে চাই।'

বিএমডব্লিউর ভাষ্য, ২০২৮ সালে তাদের প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মতো হাইড্রোজেনচালিত গাড়ি আনতে যাচ্ছে। এর হাইড্রোজেন গাড়ি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল রথ সংবাদ সংস্থাটিকে বলেন, 'হাইড্রোজেন গাড়ির উৎপাদন বাড়িয়ে এর দাম কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।'

সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে সারা পৃথিবীতে মাত্র ৯২১টি হাইড্রোজেন জ্বালানি সংগ্রহের স্টেশন ছিল। দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনে ছিল ২০০টি।

ইউরোপিয়ান কমিশন ২০৩৫ সালের মধ্যে নতুন পেট্রোল ও ডিজেলচালিত গাড়ি বন্ধের লক্ষ্য নিয়েছে। পাশাপাশি হাইড্রোজেন স্টেশনের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Extreme weather events threatening food security

Since May last year, Bangladesh faced more than a dozen extreme weather events -- four cyclones, nine incidents of floods, and multiple spells of heavy rains, heatwaves, and cold waves -- and now they threaten food security..These events not only harmed individual farmers and food security

18m ago