এপ্রিলে প্রবাসী আয়ের প্রায় অর্ধেক এসেছে ঢাকা বিভাগে

গত এপ্রিলে দেশে প্রবাসী আয়ের প্রায় অর্ধেকই ঢাকা বিভাগে এসেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

'বাংলাদেশে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ—এপ্রিল ২০২৫' শীর্ষক মাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা বিভাগে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল এক দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। এটি এপ্রিলে দেশে আসা মোট প্রবাসী আয়ের সাড়ে ৪৯ শতাংশ।

দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চট্টগ্রাম বিভাগ। এখানে এসেছে শূন্য দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। এটি মোট প্রবাসী আয়ের ২৬ দশমিক আট শতাংশ। এরপর আছে সিলেট বিভাগ। এখানে এসেছে শূন্য দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার বা মোট আয়ের আট দশমিক সাত শতাংশ।

জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে ঢাকা থেকে। এর পরিমাণ শূন্য দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার। অন্যান্য জেলার মধ্যে আছে চট্টগ্রাম (শূন্য দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার), কুমিল্লা (শূন্য দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার) ও সিলেট (শূন্য দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার)।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বৈশ্বিক ও দেশীয় অনিশ্চয়তার মধ্যেও প্রবাসী আয় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার অন্যতম প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করছে।

এপ্রিলে মোট প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল দুই দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। গত মার্চের তুলনায় শূন্য দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার বা ১৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ কম।

তবে ২০২৪ সালের এপ্রিলের তুলনায় এই আয় শূন্য দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার বা ৩৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি।

বিদায়ী অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মোট প্রবাসী আয় হয়েছে ২৪ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় পাঁচ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার বা ২৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে—মূল্যস্ফীতি, ডলারের বিনিময় হারের অস্থিরতা ও আমদানি খরচের চাপের মধ্যে প্রবাসী আয় দেশের রিজার্ভ ধরে রাখতে, ব্যাংকিং খাতে তারল্যের চাপ কমাতে ও বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরতা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

Comments

The Daily Star  | English
Election in Bangladesh

Why are we trying to make the election uncertain?

Those who are working to prevent the election should question themselves as to how the people will be empowered without one.

12h ago