যুক্তরাষ্ট্রে যেসব পণ্য বেশি রপ্তানি করে ভারত

ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোয় নাখোশ ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। তাদের মনোবল চাঙা রাখতে নয়াদিল্লি প্রায় শতবর্ষ পুরোনো 'স্বদেশি' মন্ত্র আওড়ালেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জোর দিলেন স্থানীয় শিল্প-ব্যবসার ওপর।
আজ বুধবার ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দু এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া থেকে তেল কেনায় ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। এই বাড়তি শুল্কের ফলে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ।
এতে আরও বলা হয়, এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি ভিন দেশ থেকে আমদানি কমানোর কথা বলেছেন। তার পরামর্শ, ভারতবাসী নিজেদের উৎপাদিত পণ্য নিজেরাই ব্যবহার করুক। দেশবাসীকে তিনি বিদেশি পণ্য ব্যবহার কমিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন—'ভোকাল ফর লোকাল'।
আজ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাড়তি শুল্কের কারণে ভারতের মোট রপ্তানির ৫৫ শতাংশ প্রভাবিত হবে। ভারত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে সাড়ে ৮৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। এর ফলে ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে।
ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের সভাপতি এস. সি. রালহান বার্তা সংস্থাটিকে বলেন, 'এই ঘটনায় ভারতীয় রপ্তানিকারকরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজারে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।'
ভারতীয় তৈরি পোশাক এবং রাসায়নিক ও চামড়াজাত পণ্যে অন্য দেশগুলোর তুলনায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ বাড়তি দাম দিতে হবে।
ভারত যুক্তরাষ্ট্রে যেসব পণ্য বেশি রপ্তানি করে
স্মার্টফোন: ১০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার
হীরা: ৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার
ওষুধ: ৪ বিলিয়ন ডলার
পেট্রোলিয়াম পণ্য: ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার
হীরার অলঙ্কার: ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার
ক্যানসার নিরাময় ওধুধ: ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার
চিংড়ি: ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার
এ ছাড়াও, পেট্রোল, সোলার প্যানেল ও গাড়ির যন্ত্রাংশ রপ্তানি করে ভারত বলেও রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তবে ওষুধ, স্মার্টফোন ও তেল-গ্যাসের ওপর এখনই বাড়তি শুল্ক বসছে না বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
Comments