১৭ বছরের ব্যবধানে একই পরিণতি বৈমানিক স্বামী-স্ত্রীর

নেপালের পোখারায় ৭২ জন যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত ইয়েতি এয়ারলাইন্সের কো-পাইলট অঞ্জু খাতিওয়াদা ক্যাপ্টেন হওয়ার লক্ষ্য অর্জন থেকে মাত্র কয়েক সেকেন্ড দূরে ছিলেন।
অঞ্জু খাতিওয়াদা। ছবি: সংগৃহীত

নেপালের পোখারায় ৭২ জন যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত ইয়েতি এয়ারলাইন্সের কো-পাইলট অঞ্জু খাতিওয়াদা ক্যাপ্টেন হওয়ার লক্ষ্য অর্জন থেকে মাত্র কয়েক সেকেন্ড দূরে ছিলেন।

গতকাল রোববার পোখারায় নামলেই ১০০ ঘণ্টা উড্ডয়ন অভিজ্ঞতা পূর্ণ হতো অঞ্জু খাতিওয়াদার। তিনি পেতেন ক্যাপ্টেন হওয়ার লাইসেন্স। এর আগেই বিমানটির সঙ্গে তার সেই স্বপ্নও ধুলিসাৎ হয়ে যায়।

১৭ বছর আগে এমন আরেকটি বিমান দুর্ঘটনায় পাইলট স্বামীকেও হারান অঞ্জু।

গতকাল ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এটিআর ৭২-৫০০ মডেলের উড়োজাহাজটির পাইলট ছিলেন সিনিয়র ক্যাপ্টেন কামাল কেসি। উড়ানটি ছিল ২৭ মিনিটের।

কাঠমান্ডু থেকে ৭২ জন আরোহী নিয়ে উড়ে পর্যটন নগরী পোখরায় নামার পথে সেতি নদীর তীরবর্তী বনভূমিতে বিধ্বস্ত হয় এটি।

ইন্ডিয়া টুডে'র প্রতিবেদন অনুসারে, অঞ্জুর স্বামীও ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একজন কো-পাইলট ছিলেন। ২০০৬ সালের ২১ জুনের দুর্ঘটনায় তিনিও মারা যান।

সেদিন নেপালগঞ্জ থেকে সুরক্ষেত হয়ে জুমলা যাওয়ার পথে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ৯এন এইকিউ উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছিল। এতে অঞ্জুর স্বামীসহ উড়োজাহাজের ৪ জন ক্রুর পাশাপাশি ৬ যাত্রীরও মৃত্যু হয়।

ইন্ডিয়া টুডে'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কো-পাইলট হিসেবে এটাই ছিল অঞ্জুর শেষ ফ্লাইট। রোববার সফল অবতরণের পর ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব নেওয়ার কথা ছিল তার।

অঞ্জু তার প্রশিক্ষক কামাল কেসির সঙ্গে ফ্লাইটে উঠেছিলেন তার ১০০ ঘণ্টার উড্ডয়ন অভিজ্ঞতা পূরণ করার জন্য। এর আগে নেপালের প্রায় সব বিমানবন্দরে সফলভাবে অবতরণ করেছিলেন তিনি।

গতকাল অঞ্জুদের বহনকারী উড়োজাহাজটি যখন বিধ্বস্ত হয়, তখন তা পোখারা বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১০ সেকেন্ডের দূরত্বে ছিল।

 

Comments