‘আতাফল’ ঘোষণায় জাপানি ফল ‘পারসিমন’ আমদানি, বেনাপোলে আটক
মিথ্যা ঘোষণায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে 'আতাফলের' সঙ্গে আমদানি করা 'পারসিমন' ফলের একটি চালান আটক করেছে কাস্টমস।
আজ শুক্রবার সকালে আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইনে মামলা করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড থেকে ওই চালানটি আটক করা হয়।
পারসিমন জাপানের জাতীয় ফল হিসেবে স্বীকৃত। ভারতের মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে এ ফল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রভা এন্টারপ্রাইজ ২ হাজার ৭০০ কেজি আতাফল আমদানি করে। কিন্তু, কাস্টমস কর্মকর্তারা আতাফলের চালানটি পরীক্ষার সময় জাপানি ফল পারসিমন পান।
পরে মিথ্যা ঘোষণায় শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে চালানটি আটক করা হয়। চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আমেনা এন্টারপ্রাইজ।
এ চালানে প্রায় ৮ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে কাস্টমস।
রাজস্ব কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, 'গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ফলের চালানটি জব্দ করা হয়েছে। রাজস্ব ফাঁকি ও জরিমানার টাকা আদায় করা হয়েছে।'
যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আমেনা এন্টারপ্রাইজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, লাইসেন্সটি বেনাপোলের একজনের কাছে ভাড়া দেওয়া। বিষয়টি তার জানা নেই।
জানতে চাইলে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বন্দরের স্ক্যানিং মেশিন অচল হয়ে পড়ে থাকায় বৈধ বাণিজ্যের ভেতর দিয়েই অনিয়মের সুযোগ পাচ্ছেন অসাধু আমদানিকারকরা।'
বেনাপোল কাস্টমস সূত্র জানায়, গত চার মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। সেখানে আদায় হয়েছে ১ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। রাজস্ব ঘাটতি ২৪০ কোটি টাকা।
Comments