একজীবনে এত ভালোবাসা পেয়েছি, সত্যিই অদ্ভুত লাগে: পরীমনি

‘প্রতিদিন আমার কাছে স্ক্রিপ্ট আসছে, ধীরে কাজ করতে চাই।’
পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনি। বিরতির পর নতুন সিনেমার শুটিংয়ে ফিরেছেন। বেশিরভাগ শুটিং শেষও করেছেন। অনম বিশ্বাসের পরিচালনায় একটি ওয়েব ফিল্মের শুটিং করবেন শিগগিরই। এ ছাড়া রায়হান রাফীর পরিচালনায় একটি সিনেমায় অভিনয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে। আগামী দেড় বছরের শুটিংয়ের পরিকল্পনা করে ফেলেছেন জনপ্রিয় এই নায়িকা।

অভিনয় ও ব্যক্তিগত জীবনের নানা দিক নিয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন পরীমনি।

দ্য ডেইলি স্টার: ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা হিসেবে দর্শক-ভক্তদের কাছ থেকে ভালোবাসা যেমন পান, নেতিবাচক মন্তব্যও শুনতে হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিষয়টি কীভাবে দেখেন?

পরীমনি: একজীবনে এত ভালোবাসা পেয়েছি, সত্যিই অদ্ভুত লাগে। আমার কাছের মানুষেরা, ভক্তরা, দর্শকরা চায় বেশি বেশি সিনেমা করি। তারা ভালোবাসে বলেই চায়। তাদের ভালোবাসা আসলেই অন্যরকম। প্রচণ্ড উৎসাহ দেয় তারা। একটি কথা শেয়ার করি, আগে নানারকম বিরূপ মন্তব্য করতেন সামাজিক  যোগাযোগমাধ্যমে। এখন করেন না। ইতিবাচক মন্তব্য করেন। কবে নতুন সিনেমায় দেখতে পাবেন, কেন আরও বেশি কাজ করছি না, পর্দায় বেশি বেশি দেখতে চাই—এইরকম হাজারো ইতিবাচক মন্তব্যে ভরা থাকে। জীবন ভীষণ সুন্দর ও সার্থক মনে হয়।

পরীমনি। ছবি: স্টার

ডেইলি স্টার: ইদানীং সন্তানের সঙ্গে প্রচুর ছবি শেয়ার করতে দেখা যাচ্ছে...

পরীমনি: মানুষ ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জার ভরিয়ে ফেলে যদি বাবুর ছবি না দিই। অসংখ্য ম্যাসেজ আসে। তারা বলে, কেন বাবুর ছবি দিচ্ছি না। তারা আমার চেয়ে বাবুর খোঁজ বেশি নেয়। বাবুর কথা জানতে চায়। মা হিসেবে এটা ভালো লাগে। আমার সন্তানকেও মানুষ এত ভালোবাসে! অবাক হই। মনটা ভরে যায়।

ডেইলি স্টার: কাজ কম করছেন কেন?

পরীমনি: অনেক বেশি কাজ করতে হবে, বিষয়টি তা না। আমি হারিয়ে যাইনি। আমি ঢাকাই সিনেমায় আছি, ভালোভাবেই আছি। মা হয়েছি, তাই বিরতি গেছে। নতুন করে কাজে ফিরেছি। পরীমনি হারিয়ে যায়নি। নতুন করে স্টাবলিশ হওয়ার কিছু নেই। মানুষ আমাকে চেনে, ভালোবাসে।

সুন্দর সুন্দর সিনেমা করতে চাই। সংখ্যাটা বড় না। ভালো ভালো সিনেমায় আমাকে দেখতে চাই। প্রতিদিন আমার কাছে স্ক্রিপ্ট আসছে। ধীরে ধীরে কাজ করতে চাই। অসংখ্য কাজ তো কোনো শিল্পীই করতে পারবেন না। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি একদম বেছে বেছে, ভালো ভালো কাজ করব। এখন আমার সন্তান আছে, তাকে সময় দিতে হয়। সবকিছু ভেবেই শুটিং করতে হবে।

পরীমনি, অ্যাডভেঞ্চার অফ সুন্দরবন, ভালোবাসা দিবস,
ছেলের সঙ্গে পরীমনি। ছবি: পরীমনির ফেসবুক থেকে নেওয়া

ডেইলি স্টার: জীবনটাকে কীভাবে সাজাতে চান?

পরীমনি: সুন্দর করে। সন্তানের প্রাধান্য আমার কাছে বেশি। সিনেমাও করব। কিন্তু সন্তানকে সময় দেবো না, এটা ভাবতেই পারি না। আরও কয়েকটা বছর বেশি বেশি সময় দিতে হবে। সন্তানকে সময় দিইনি—এটা বলে আফসোস করতে চাই না। সে আমার অংশ। তারপরও আমি সিনেমার মানুষ, সিনেমা তো করতেই হবে। আগামী দেড় বছরের পরিকল্পনা করে ফেলেছি। দেড় বছরে কার কার কাজ করব, কী কী কাজ করব—সেটা চূড়ান্ত করে ফেলেছি।

ডেইলি স্টার: এই সময়ের আলোচিত পরিচালক রায়হান রাফীর সঙ্গে নতুন সিনেমার কথা শোনা যাচ্ছে?

পরীমনি: ঠিকই শুনেছেন। রায়হান রাফী একদিন বলল, চলো একটা সিনেমা করি। আমি ভেবে দেখলাম ওটিটির কাজের পাশাপাশি আমাকে সিনেমাও করতে হবে। আশা করছি রাফীর সঙ্গেও সিনেমা হবে। সময় হলেই সবাই বিস্তারিত জানতে পারবেন।

পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত

ডেইলি স্টার: অনম বিশ্বাসের পরিচালনায় একটি ওয়েব ফিল্ম করার কথা?

পরীমনি: অনম বিশ্বাসের কাজটি করব। ওটিটির প্রথম কাজ এটা। চট্টগ্রাম ও বরিশালে শুটিং হবে। এটুকু গ্যারান্টি দিতে পারি যে, দারুণ একটি কাজ হবে। আমি ভীষণ আশাবাদী এই কাজটি নিয়ে।

ডেইলি স্টার: আপনার নিজের বিনোদন কী?

পরীমনি: বর্তমানে আমার নিজের কাছে বিনোদন হচ্ছে আমার ছেলে (হাসি)। কেননা, ও নিজেই একটা জীবন্ত খেলনা। কল্পনাও করা যাবে না কতটা আনন্দে রাখে আমাকে।

পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত

ডেইলি স্টার: ডোডোর গল্প নামের নতুন সিনেমার শুটিং কতদূর করেছেন?

পরীমনি: বেশিরভাগ শুটিং শেষের পথে। অসাধারণ একটি সিনেমা হতে যাচ্ছে। এই সিনেমাটি করার মূল কারণ গল্প। গল্পটা অন্যরকম। তা ছাড়া অভিনয়ের সুযোগ আছে। তরুণ থেকে শুরু করে মধ্যবয়সী পর্যন্ত  চরিত্রে দেখা যাবে আমাকে। নতুন লুক, নতুন গল্প। এইরকম চরিত্রে কখনোই দেখা যায়নি আমাকে আগে।

Comments

The Daily Star  | English

Cyber Security Agency exists only in name

In December 2018, when the Digital Security Agency was formed under the Digital Security Act, it was hoped that the cybersecurity of important government sites with critical citizen data such as the Election Commission’s national identity database and the Office of the Registrar of Birth and Death  would be robust.

10h ago