কলকাতার যেখানে গিয়েছি অভিনয়ের প্রশংসা পেয়েছি: চঞ্চল

ওয়েব ফিল্ম, সিনেমা এবং নাটক- ৩ মাধ্যমেই দারুণ সময় যাচ্ছে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর। তার সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘হাওয়া’ যাচ্ছে অস্কারে। এদিকে হইচই প্ল্যাটফর্মরে একটি অনুষ্ঠানের জন্য কলকাতা ঘুরে এসেছেন তিনি।
প্রসেনজিৎ ও চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ওয়েব ফিল্ম, সিনেমা এবং নাটক- ৩ মাধ্যমেই দারুণ সময় যাচ্ছে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর। তার সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া সিনেমা 'হাওয়া' যাচ্ছে অস্কারে। এদিকে হইচই প্ল্যাটফর্মরে একটি অনুষ্ঠানের জন্য কলকাতা ঘুরে এসেছেন তিনি।

কলকাতার নন্দিত অভিনেতা প্রসেনজিৎ-এর নিমন্ত্রণে তার বাড়িতেও গিয়েছিলেন চঞ্চল। দ্য ডেইলি স্টারের কাছে সেসব গল্প বলেছেন চঞ্চল চৌধুরী।

তিনি বলেন, 'বুম্বাদা'র (প্রসেনজিৎ) মতো বিনয়ী শিল্পী কমই দেখেছি। শিল্পী হিসেবে তিনি অনেক বড় মাপের। তার খ্যাতি বিশাল। কিন্তু, কথা বলেন খুব বিনয় নিয়ে। যে কোনো মানুষ আকৃষ্ট হবেন তার কথায়। আমি বরাবরই তার অভিনয়ের ভক্ত। তিনিও আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেন। এবারও করেছেন।'

'বুম্বাদা'র সঙ্গে প্রথম পরিচয় 'মনের মানুষ' সিনেমা করতে গিয়ে। তখন থেকে আমাকে খুব স্নেহ করতেন। এখনো ভালোবাসেন, স্নেহ করেন। মনের মানুষ করতে গিয়ে তার সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যা আজও আছে। এই সম্পর্ক থাকবে আজীবন। এটা শিল্পের ও হৃদয়ের সম্পর্ক,' বলেন তিনি।

চঞ্চল বলেন, 'এবার দীর্ঘ কলকাতা গিয়েছিলাম হইচইয়ের একটি অনুষ্ঠানে। বাংলাদেশ থেকে আরও কয়েকজন শিল্পী ছিলেন। কলকাতার অনেক শিল্পীরাও ছিলেন। বুম্বাদা, অপর্ণা সেন, দেব, মীরসহ অনেক তারকা উপস্থিত ছিলেন। অবশ্য কলকাতা যাওয়ার কিছুদিন আগে আমার একটি ফিল্ম দেখে বুম্বাদা এসএমএস করেছিলেন, খুব প্রশংসা করেছিলেন। আমিও জানিয়েছিলাম কলকাতা যাওয়ার কথা।'

তিনি আরও বলেন, 'হইচইয়ের অনুষ্ঠানের দিন বুম্বাদার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর খুব আপন করে নেন। আগের মতোই ভালোবাসা দিয়ে কাছে টেনে নেন। এক ফাঁকে বললেন, বাড়িতে নিমন্ত্রণ রইল, আসতেই হবে। এরপর আমরা ১০ জনের একটি টিম তার বাসায় যাই। ৩ ঘণ্টা আড্ডা দিয়েছি। কতই না আপন করে নেন তিনি। রাতের খাবার খেয়ে ফিরতে হয়েছে। নিজে খাবার তদারকি করেছেন। খাবার টেবিলেও গল্প করেছেন।'

'এবারের কলকাতা ট্যুর অনেক কারণেই স্মরণীয় আমার জন্য। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বুম্বাদা'র বাসায় নিমন্ত্রণ। সেখানে আমার স্ত্রী, পুত্র শুদ্ধ, বৃন্দাবন দাশের পরিবার, ইন্তেখাব দিনার, বিজরী বরকতউল্লাহ, পরিচালক শাত্তকী সহ আমরা উপস্থিত ছিলাম। আড্ডা ও খাওয়া শেষে ফেরার সময় আমার পুত্র এবং খুশির ২ পুত্র সৌম্য, দিব্যকে উপহারও দিয়েছেন। বুম্বাদার দুটি গাড়িতে করে আমাদের পৌঁছে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে এবারের কলকাতা ট্যুর ছিল সত্যিই স্পেশাল। অনেকদিন মনে থাকবে।'

'এ ছাড়া তার বাড়িটি একটি বিখ্যাত বাড়ি। উত্তম কুমার অভিনীত নায়ক সিনেমার শুটিং হয়েছিল ওই বাড়িতে। বুম্বাদা বাড়িটি কেনার পর ভাঙেননি। সব মিলিয়ে এই গল্প আমাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে রাখবে আগামী দিনগুলোতে। অন্যদিকে কলকাতার যেখানে আমরা ছিলাম সেখানেও প্রতি রাতে আড্ডা দিয়েছি। কখনো আমার রুমে, কখনো অন্য কারো রুমে। অমিতাভ রেজা চৌধুরীসহ আমরা দেশের সবাই মিলে দীর্ঘ সময় ধরে আড্ডায় মেতে থেকেছি। মনে হয়েছে দূরে নয়-কাছেই আছি,' বলেন তিনি।

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, 'কলকাতার কয়েকটি শপিংমলে গিয়েছি, ঘুরেছিও। যেখানেই গিয়েছি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। এত  ভালোবাসা অপেক্ষা করছিল ভাবিনি। কলকাতার যেখানেই গিয়েছি অভিনয়ের প্রশংসা পেয়েছি। একজন শিল্পী হিসেবে এ জীবনে এটাই তো বড় প্রাপ্তি।'

Comments