‘ছোটবেলার ঈদ স্মৃতি হয়ে জীবনের সঙ্গে গেঁথে আছে’

সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে ছোটবেলার ঈদ নিয়ে কথা বলেছেন বাঁধন।
আজমেরি হক বাঁধন, বাঁধন, রেহানা মরিয়ম নূর, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার,
আজমেরি হক বাঁধন। ছবি: স্টার

চলতি বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন আজমেরি হক বাঁধন। রেহানা মরিয়ম নূরের এই অভিনেত্রী বলিউড সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। সর্বশেষ তার অভিনীত একটি ওয়েব সিরিজ দর্শকদের কাছে ভালো সাড়া ফেলেছে। সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে ছোটবেলার ঈদ নিয়ে কথা বলেছেন বাঁধন।

বাঁধন বলেন, 'ছোটবেলায় বছরের দুই ঈদের ছুটিতে দুই জায়গায় থাকতাম। আমার দাদাবাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানায়। বাবা এখনো নিয়মিত ওখানে যোগাযোগ রাখেন, আসা-যাওয়া করেন। আমরাও সবাই মিলে বছরে একাধিকবার যাই ওখানে। আর রোযার ঈদ মানে ঢাকায় নানাবাড়িতে। নানাবাড়িটাই এখন মামাবাড়ি হয়ে গেছে, এটা রায়েরবাজারে। ওখানকার অনেক স্মৃতি আমার মনে গেঁথে আছে।'

তিনি আরও বলেন, 'ছোটবেলায় ঈদের সময়ে ঈদির অপেক্ষায় থাকতাম এবং খুব আনন্দ কাজ করত। এটা ছিল আনন্দের অন্যতম একটি উপলক্ষ। এছাড়া নতুন পোশাক কেনা ও নতুন পোশাক পরার খুশিও কম ছিল না। ওই দিনগুলো আর ফিরে পাব না। ছোটবেলার ঈদের দিনগুলোতে জীবনের মধুর আনন্দ লুকিয়ে আছে।'

'রোযার ঈদের দিনগুলোতে রায়েরবাজারে সব কাজিনরা মিলে ঘোরাঘুরি করতাম, মধুর সময় কাটাতাম। আর ঈদের দিন ঘুম ভাঙত ভোরবেলা। কেননা, মা ভোরে ঘুম থেকে উঠতেন। আমিও তাই করতাম। সেই ভোর খুব মিস করি। ফেলে আসা দিনগুলোর মধ্যে ঈদের ছুটিটা ছিল অন্যরকম। ঈদের দিনের ছুটিটাও মিস করি খুব। ভীষণ ভীষণ মিস করি। ছুটিতে লেখাপড়া করতে হত না, স্কুলে যাওয়ার তাড়া ছিল না। শুধু ফুর্তি আর আনন্দ করা হত ছোট ছোট বন্ধুদের নিয়ে।'

'বড়বেলায় ঈদ মানে দায়িত্ব বেড়ে গেছে। একসঙ্গে অনেক কাজ করতে হয়। আমার মেয়েকে দেখে বুঝি- ওই সময়টা আমিও ফেলে এসেছি। এখনকার ঈদ মানেই অনেক বেশি দায়িত্ব। তারপরও শত দায়িত্ব পালন করার মধ্যে নস্টালজিয়া কাজ করে, ছোটবেলার ঈদের কথাও মনে পড়ে,' বলেন বাঁধন।

তিনি আরও বলেন, 'ঈদের দিন শিশুমেলায় যাওয়া হত। ওটাও অনেক আনন্দের ছিল। কাজিনরা মিলে বাসায় বাসায় গিয়ে দারুণ সময় কাটাতাম। তারপর সালাম করতাম বড়দের। সালাম করে ঈদি পেতাম। তখন কত যে ভালো লাগত তা বলে শেষ করা যাবে না।'

সবশেষে বাঁধন বলেন, 'এভাবেই ছোটবেলার ঈদ স্মৃতি হয়ে জীবনের সঙ্গে গেঁথে আছে।'

Comments