পুলিশ চরিত্রে পর্দায় আসছেন বাঁধন
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে বাঁধন অভিনীত নতুন সিনেমা 'এষা মার্ডার'। সম্প্রতি সিনেমার টিজার প্রকাশ পেয়েছে।
'রেহেনা মরিয়ম নূর' সিনেমায় অভিনয় করে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন বাঁধন। বলিউডেও নাম লিখিয়েছেন তিনি। ভারতে নতুন দুটো সিনেমা করার কথা রয়েছে তার।
সম্প্রতি নানা বিষয় নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন বাঁধন।
'এষা মার্ডার' ঈদে মুক্তি পাবে?
সবেমাত্র টিজার মুক্তি পেল। ভালো সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি 'এষা মার্ডার' ঈদুল আযহায় মুক্তি পাবে। প্রথমবার আমার অভিনীত কোনো সিনেমা ঈদে মুক্তি পাচ্ছে।
রেহেনা মরিয়ম নূরের দর্শক শ্রেণী ছিল আলাদা। দেশে-বিদেশ সিনেমাটি প্রশংসিত হয়েছে। 'এষা মার্ডার' নিয়েও প্রত্যাশা অনেক।
ঈদে অনেকগুলো সিনেমা মুক্তি পায়। সেক্ষেত্রে 'এষা মার্ডার' নিয়ে কেমন প্রত্যাশা করছেন?
প্রথম কথা হচ্ছে, এর আগে ঈদে আমার কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। তারপরও প্রত্যাশা তো সবারই থাকে, আমারও আছে। দর্শকদের প্রতি আমার বিশ্বাস আছে। আমার নিজের একটা দর্শক আছে। তারা দেখবেন। ভালো সিনেমার যারা দর্শক তারাও দেখবেন। ভালো গল্পের প্রতি দর্শকদের আগ্রহ আছে, সে দিক থেকেও বলব যে 'এষা মার্ডার' সবাই দেখবেন।
পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?
চ্যালেঞ্জিং তো ছিলই। দেড়-দু মাস শুধু শিখেছি। ফাইট শিখতে হয়েছে। রিয়েল লোকেশনে শুটিং হয়েছে। দেড়-দু মাস নিয়ম করে যেতাম, দেখতাম অফিসারদের কাজ। তাদের সঙ্গে মিশতাম।
এমন চরিত্র সাধারণত ছেলেদের দেওয়া হয়। সেখানে নারী অফিসারকে বেছে নেওয়া হয়েছে। বাস্তব জীবনে একজন নারী পুলিশ অফিসার যেমন, তেমনই দেখা যাবে আমাকে।
শুটিং করার আগে কাদের সহযোগিতা বেশি পেয়েছেন?
পরিচালক সানী সানোয়ার ভাই খুব সহযোগিতা করেছেন। অনেক নারী অফিসার সহযোগিতা করেছেন। এভাবেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে পেরেছি। পরিচালকের প্রতি আমার অনেক কৃতজ্ঞতা। কারণ, তিনি আমাকে চরিত্রটির জন্য সিলেক্ট করেছেন।
শোনা যাচ্ছে, দুটো ভারতীয় সিনেমা করতে যাচ্ছেন?
হ্যাঁ, সবকিছু ঠিক হয়ে আছে—একটি হিন্দি এবং একটি কলকাতার বাংলা সিনেমা। দুটি সিনেমা পরিচালনা করবেন নতুন দুজন পরিচালক। আমি নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। সেটা হোক দেশে কিংবা বিদেশে। আশা করছি সিনেমা দুটো চলতি বছরে করতে পারব।
Comments