'জ্বীন' নিয়ে অভাবনীয় দর্শক সাড়া পাচ্ছি: নাদের চৌধুরী

নাদের চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

নাদের চৌধুরী একাধারে একজন অভিনয়শিল্পী ও চলচ্চিত্র পরিচালক। টেলিভিশনের সাড়া জাগানো নাটক 'বারো রকম মানুষে' অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। অসংখ্য নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। মঞ্চ দিয়ে তার অভিনয়জীবন শুরু। এ পর্যন্ত ৩টি সিনেমা পরিচালনা করেছেন। 'লালচর', 'মেয়েটি এখন কোথায় যাবে' ও এবারের ঈদের জন্য পরিচালনা করেছেন 'জ্বীন' সিনেমা। মুক্তির পর তৃতীয় সপ্তাহ ধরে জ্বীন চলছে ঢাকাসহ সারাদেশের সিনেমা হলে।

'জ্বীন' সিনেমাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন নাদের চৌধুরী।

দ্য ডেইলি স্টার: জ্বীন সিনেমা পরিচালনা করে কতটা সাড়া পাচ্ছেন?

নাদের চৌধুরী: একজন পরিচালক হিসেবে নয়, একজন শিল্পী হিসেবে নয়, একজন নাগরিক হিসেবে বলতে চাই, ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্যে জ্বীন ভালো চলছে। বেশ ভালো চলছে। আমি খুশি। অনেক বেশি খুশি। জ্বীন সিনেমা পরিচালনা করে আমি খুশি। ঈদের দিন থেকে শুরু করে বেশ কয়েকবার ঢাকার বেশ কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে গিয়েছি। খুব সাড়া পেয়েছি দর্শকদের কাছ থেকে। ভালো লেগেছে। মুগ্ধ হয়েছি। সেজন্য বলছি, জ্বীন সিনেমায় দর্শকদের অভাবনীয় সাড়া দেখে আমি খুশি।

ডেইলি স্টার: জ্বীন সিনেমায় সজল ও পূজা চেরিকে জুটি হিসেবে নিয়েছেন, তাদের নিয়ে মন্তব্য?

নাদের চৌধুরী: সজল ও পূজা চেরি দুজনেই ভালো অভিনয় করেছেন। শতভাগ শ্রম দিয়েছেন। চরিত্রের প্রতি ভালোবাসা ছিল। আমি শুধু বলতাম, যতটুকু ভালোবাসা ও শ্রম দেবে, চরিত্রের জন্য ততটাই পাবে। সেটাই তারা পাচ্ছে। তা ছাড়া আরেকটি কথা বলতে চাই, সিনেমা হচ্ছে একটি টিমওয়ার্ক। পুরো টিম ভালো করেছে। আমি সবসময় টিমওয়ার্কে বিশ্বাস করি। ওরা দুজন ধরতে পেরেছিল পরিচালক হিসেবে কতটা অভিনয় আশা করছি। সেভাবেই দুজনে অভিনয় করেছে।

ডেইলি স্টার: পরবর্তী সিনেমা নিয়ে পরিকল্পনা করেছেন?

নাদের চৌধুরী: পরিকল্পনা করেছি। খুব কাছাকাছি সময়েই হয়তো ঘোষণা দিতে পারব। জ্বীন সিনেমা নিয়ে একটা দ্বিধায় ছিলাম দর্শকরা কীভাবে নেবে, কতটা সাড়া দেবে। তারা সাদরে গ্রহণ করেছেন। এজন্য আত্মবিশ্বাসটাও বেড়ে গেছে। আমি দারুণ উজ্জীবিত জ্বীন সিনেমা নিয়ে। এজন্য নতুন সিনেমা নিয়ে পরিকল্পনা করেছি। সবার ভালোবাসা চাই।

ডেইলি স্টার: এই সময়ে এসে জ্বীন সিনেমার মতো গল্প বেছে নেওয়ার কারণ কী?

নাদের চৌধুরী: দেখুন, আমাদের দেশের দর্শকরা কিন্তু গল্প পছন্দ করেন। তারা ভালো গল্প পর্দায় দেখতে চান। জ্বীন কথাটির সঙ্গে কিংবা জ্বীন নামের সঙ্গে আমরা কম-বেশি সবাই পরিচিত। সবসময় চেয়েছি নতুন গল্প নিয়ে সিনেমা করব। নতুন কিছু দেবো। সেই ভাবনা থেকেই জ্বীন সিনেমার গল্প বাছাই করেছি। এই সিনেমার মধ্যে দিয়ে আমি সুস্থ বিনোদন দিতে চেয়েছি। জ্বীন সিনেমায় দেখেছি বাচ্চারা যেমন এসেছে, পরিবার নিয়ে মা-বাবাও এসেছেন। তরুণরাও এসেছেন। এটা আশার কথা। এদেশের সিনেমার জন্য এটা আনন্দের কথা।

ডেইলি স্টার: হিন্দি সিনেমা পাঠান এদেশে মুক্তি পাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আপনার মতামত কী?

নাদের চৌধুরী: আসুক। প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে যাওয়া উচিত। সবার হাতে রিমোট আছে। চাইলেই ঘরে বসে যেকোনো ভাষার সিনেমা একজন মানুষ  দেখতে পারেন। কাউকে আটকানো যাবে না। ভারতীয় সিনেমাও তো বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন ভাষার সিনেমার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। যারা ভালো ও মেধাবী, তারাই টিকে থাকবে। ছোটবেলায় তো বাংলা সিনেমার পাশাপাশি অন্যান্য সিনেমাও দেখেছি। তখনই তো ভালো ভালো সিনেমা হয়েছে এদেশে।

ডেইলি স্টার: আপনি কি মনে করেন বাংলাদেশের সিনেমার প্রতি দর্শকদের ভালোবাসা বাড়ছে?

নাদের চৌধুরী: অবশ্যই। ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোই তার প্রমাণ। এখনো হলে হলে দর্শকরা যাচ্ছেন। গতকালও রাজধানীর একাধিক সিনেমা হলের খবর নিয়েছি, বেশ ভালো দর্শকরা গেছেন সিনেমা দেখতে। গতবছর তো কয়েকটি সিনেমা ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। আমি মনে করি ভালো সিনেমার বিকল্প নেই। ভালো সিনেমার দর্শক আছে এবং থাকবেই। একটু ভালো করলেই হাউসফুল হয়ে যায়।

ডেইলি স্টার: একজীবনের অর্জন?

নাদের চৌধুরী: ভালোবাসা। শিল্পের পথে এসেছিলাম শিল্পকে ভালোবেসে। এখনো ভালোবেসে কাজ করে যাচ্ছি। টেলিভিশন নাটক আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। অভিনয় আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। সেটা হচ্ছে সম্মান ও ভালোবাসা। এটা নিয়েই থাকতে চাই।

Comments

The Daily Star  | English

$1b a year needed to hit 2030 green energy goal

Bangladesh needs to expand its renewable energy capacity by 21 percent annually to meet its latest green energy target by 2030, requiring nearly $1 billion in yearly investment, according to a study by the Institute for Energy Economics and Financial Analysis (IEEFA).

13h ago