ব্রাহ্মণবাড়িয়া-সিলেট হয়ে আসামের দিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-সিলেট হয়ে আসামের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। আবহাওয়া অধিদপ্তরের রাত ১২টার বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-সিলেট হয়ে আসামের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। আবহাওয়া অধিদপ্তরের রাত ১২টার বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এছাড়া ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথেও একই পথ দেখা গেছে।

এদিকে সোমবার রাত ১২টায়  আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাত ৯টায় ভোলার ভেতর দিয়ে বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে ঘূর্নিঝড় সিত্রাং। উপকূল অতিক্রমের সময় এটি সাইক্লোন রূপে থাকলেও, পরে জলভাগ ও স্থলভাগের ইন্টারঅ্যাকশন এবং বৃষ্টিপাত ঝড়িয়ে এটি ক্রমশ দূর্বল হতে থাকবে।' 

রাত ১-২টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করে দেশের মাঝামাঝি এলাকায় অর্থাৎ ঢাকা, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌঁছানোর পর এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে বলে জানান তিনি। 

সোমবার রাতে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ- আইএমডির সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ২৮ কিলোমিটার বেগে স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে এবং তখন এটি বরিশাল থেকে ২৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।

এর আগে ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার হতে পারে বলা হলেও, আইএমডি এখন বলছে এটি সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার হতে পারে।

বাংলাদেশের তিনকোনা দ্বীপ ও সন্দ্বীপের মধ্যে স্থলভাগের আঘাতের পর ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপ, নিম্নচাপ এবং নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে আইএমডি জানিয়েছে।

 

Comments