চেঙ্গী-মাইনী নদীর পানি বেড়ে খাগড়াছড়িতে বন্যা, সাজেকে আটকা ২ শতাধিক পর্যটক
টানা চারদিনের বৃষ্টিতে চেঙ্গী ও মাইনী নদী পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে এ মৌসুমে চতুর্থবারের মতো বন্যা দেখা দিয়েছে খাগড়াছড়ি জেলায়।
জেলার ৫০টি গ্রাম ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। বাঘাইহাট এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ায় সাজেকে আটকা পড়েছে দুই শতাধিক পর্যটক।
খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা এবং মেরুং ইউনিয়নের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেডকোয়ার্টার এলাকা প্লাবিত হওয়ায় রাঙ্গামাটির লংগদুর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
খাগড়াছড়ির পৌরসভার প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বন্যাদুর্গতদের জন্য ১২ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২ হাজার ৫৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।'
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাজেক-বাঘাইহাট সড়কে পানি উঠায় সাজেকে বেড়াতে আসা দুই শতাধিক পর্যটক খাগড়াছড়িতে ফিরতে পারছেন না। আজ সড়ক থেকে পানি সরে না যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আটকেপড়া পর্যটকদের জন্য পানি খরচ বাদে রুম ভাড়ায় ছাড় দেওয়া হবে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সড়ক থেকে পানি নেমে গেলে সাজেকে আটকেপড়াদের ফিরিয়ে আনা হবে।'
Comments