জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৬৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে রামপাল কেন্দ্র

কয়লাভিত্তিক রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটের একটি পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। ছবি: স্টার

কয়লাভিত্তিক রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটের একটি পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে।

আজ সোমবার বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) মুখপাত্র শামীম হাসান ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রথম ইউনিটটি বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত।

বাগেরহাটে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি মংলা-মাওয়া-আমিনবাজার গ্রিডলাইনের মাধ্যমে প্রতিদিন ৬২০ থেকে ৬৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করছে।

তিনি বলেন, 'কর্তৃপক্ষ এখনো বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর তারিখ ঠিক করেনি। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়, পিডিবি এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিদর্শন করবে এবং শিগগিরই তারিখ নির্ধারণ করবে।'

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে প্ল্যান্টের উপব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, 'শনিবার রাত থেকে প্রথম ইউনিটটি পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে।'

আনোয়ারুল আরও জানান, ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটের ৭৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ দ্রুত শেষ হবে।

আনোয়ারুল দ্য ডেইলি স্টারের বাগেরহাট প্রতিনিধিকে জানান, আগামী জুন মাসে দ্বিতীয় ইউনিটটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাবে বলে তিনি আশা করছেন। 

২০১০ সালে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেডের উদ্যোগে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথভাবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লিমিটেডের মধ্যে ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি একটি চুক্তি সই হয়।

চরতি বছরের ৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের সম্ভাব্য হুমকির বিষয়ে পরিবেশবাদীদের প্রতিবাদের মধ্যে প্রথম ইউনিট উদ্বোধন করেন।

 

 

 

Comments