বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বড়পুকুরিয়ায় ১১১৩ ফেজের কয়লা শেষ, উত্তোলন বন্ধ

বড়পুকুরিয়া থেকে উত্তোলন করা কয়লা সরবরাহ করা হয় কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি। ছবি: কংকন কর্মকার/স্টার

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে।

খনির এক হাজার ১১৩ ফেজের মজুত শেষ হওয়ায় আজ বুধবার সকাল থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে।

নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর করে পুনরায় উত্তোলন শুরু করতে প্রায় দেড় থেকে ২ মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন খনি সংশ্লিষ্টরা।

বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, গত ২৫ এপ্রিল থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির এক হাজার ১১৩ ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। ওই ফেজ থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে।

খনি সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর কাজ শেষে সেখান থেকে পুনরায় উত্তোলন আগামী অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে থেকে শুরু হতে পারে।

খনি কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, নতুন ফেজ থেকে প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পাওয়া যাবে।

বড়পুকুরিয়া থেকে উত্তোলন করা কয়লা সরবরাহ করা হয় কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয়।

বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক ডেইলি স্টারকে জানান, বর্তমানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩টি ইউনিটের মধ্যে ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিটটি চালু আছে, যা থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৮০ থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। ইউনিট চালু রাখতে প্রতিদিন ২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন হয়।

বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ইয়ার্ড ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইয়ার্ডে এক লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে, যা দিয়ে প্রায় ২ মাস তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এ ইউনিটটি সচল রাখা সম্ভব।

Comments