লালমনিরহাট-কুড়িগ্রামে ১৩২ অবৈধ ইটভাটা

কুড়িগ্রামে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হলেও লালমনিরহাটে কোনো অভিযান নেই।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মদনেরচক গ্রামে এবং কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নেওয়াশি গ্রামে অবৈধ ইটভাটা সবচেয়ে বেশি। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে ১৩২টি অবৈধ ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে ইট। কুড়িগ্রামে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হলেও লালমনিরহাটে কোনো অভিযান নেই।

লালমনিরহাটে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো কার্যালয় নেই। রংপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর লালমনিরহাট নিয়ন্ত্রণ করছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি না নিয়ে কৃষি জমির ওপর অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে ইটভাটাগুলো।

কুড়িগ্রামে ১১২টি ইটভাটার মধ্যে ৮৮টি অবৈধ ও ৪৪টি বৈধভাবে এবং লালমনিরহাটের ৬৭টি ইটভাটার মধ্যে ৪৪টি অবৈধ ও ২৩টি বৈধভাবে চলছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মদনেরচক গ্রামের কৃষক সেকেন্দার আলী (৬৫) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কৃষি জমির ওপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটায় বছরের পর বছর ধরে ইট পোড়ানো হচ্ছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অবৈধ ইটভাটার কারণে আবাদি জমির ফসলও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।'

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নেওয়াশি গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হক বলেন, 'তিন ফসলি জমির ওপর অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। এ কারণে আমরা আশানুরূপ ফসল পাচ্ছি না। এমনকি গ্রামে সুপারি, আম, জাম ও কাঁঠালসহ সব ধরনের ফল উৎপাদনেও এর প্রভাব পড়ছে।'

কুড়িগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মঙ্গলবার ও বুধবার কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী ও উলিপুরে পাঁচটি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে প্রস্তুতকৃত ইট ও ভাটার একাংশ এক্সকাভেটর দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং এসব ইটভাটার মালিকদের ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।'

রংপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আজাহারুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'লালমনিরহাটের অবৈধ ইটভাটার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। খুব দ্রুত অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হবে।'

Comments