ঘূর্ণিঝড় রিমাল

চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি থেকে সব জাহাজ সরিয়ে নেওয়া শুরু

ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষায় চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে থাকা সব জাহাজ সাগরে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

সকাল ১০টায় জোয়ার শুরু হওয়ার পর বন্দরের মেরিন বিভাগের পাইলটরা জেটিতে থাকা ১৬টি জাহাজ একে একে সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে গতকাল রাত ৯টার পর চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সর্তকতা অ্যালার্ট ৩ জারি করার পর বন্দরের জেটিতে এবং বহি:নোঙ্গরে জাহাজ থেকে পণ্য উঠানামা ও খালাস বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।

রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলার পরপর বন্দর কর্তৃপক্ষ এই সর্তকতা জারি করে।

অ্যালার্ট-৩ এর করণীয় পদক্ষেপ অনুযায়ী, তাৎক্ষণিকভাবে বন্দর জেটিতে থাকা সব জাহাজ সাগরে সরিয়ে নেওয়ার কথা থাকলেও কিন্তু গতরাতে জোয়ারের অনুপস্থিতিতে তা করা সম্ভব হয়নি।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) এর সচিব মো. ওমর ফারুক ডেইলি স্টারকে বলেন 'সাধারণত জোয়ারের সময় চট্টগ্রাম বন্দরের কর্ণফুলী চ্যানেল দিয়ে বন্দর জেটি থেকে জাহাজ আনা নেওয়া করা হয়। এ কারণে আজ রোববার সকাল ১০টায় জোয়ার শুরু হওয়ার পর জেটিতে থাকা ১৬টি জাহাজ একে একে সাগরে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।'

ঘূর্ণিঝড়ের সময় বড় জাহাজগুলো জেটিতে থাকলে ঢেউয়ের কারণে জেটি ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থেকে জাহাজগুলোকে সাগরে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

বন্দর সচিব আরও জানান, গত রাতেই বন্দরের বহির্নোঙরে থাকা ৪৯টি বড় জাহাজ আরও গভীর সাগরে সরিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া কর্ণফুলী নদীতে চ্যানেল সংলগ্ন এলাকায় থাকা সব ধরনের ছোট নৌযান, লাইটার জাহাজকে উজানে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ চারটি কন্ট্রোলরুম চালু করেছে এবং রাতে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সতর্কতা পদক্ষেপ সম্পর্কে জরুরি সভা করেছে।

দুর্যোগ মোকাবেলায় করণীয় ঠিক করতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেতের সাথে সঙ্গতি রেখে বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব সতর্কতা জারি করে।

১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রণীত 'ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা' অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত অনুযায়ী চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর।

 

Comments

The Daily Star  | English
court orders exhumation of 114 july killing victims

July killings: Court orders exhumation of 114 bodies for identification

A Dhaka court today ordered the authorities concerned to exhume 114 bodies of individuals killed during the July uprising in order to identify them

1h ago