‘জাতীয় সম্পদ, সার্বভৌমত্ব রক্ষায়’ ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডমার্চ

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে রোডমার্চ শুরু হয়। ছবি: স্টার

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের কাছে ইজারা না দেওয়াসহ ৪ দাবিতে 'সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ' ব্যানারে ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডমার্চ শুরু হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে রোডমার্চ শুরু হয়।

রোডমার্চে অংশ নিচ্ছে বেশকিছু বামপন্থী, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।

তাদের দাবি, চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা, স্টারলিংক ইন্টারনেট কোম্পানির কার্যক্রম, সমরাস্ত্র কারখানা স্থাপন ও রাখাইন করিডরের সিদ্ধান্ত বাতিল করা।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে রোডমার্চ শুরু হয়। ছবি: স্টার

রোডমার্চে অংশগ্রহণকারীদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল: মা-মাটি-মোহনা বিদেশিদের দেব না, বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত রুখে দাঁড়ান, চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া চলবে না ইত্যাদি। 

সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ছিল প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য—যা সাম্রাজ্যবাদমুক্ত। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন অবিলম্বে বিদেশি শক্তির কাছে বন্দর ইজারা বা করিডোর হস্তান্তরের যেকোনো পরিকল্পনা বাতিল করে। যদি সরকার ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা আগামীকালের সমাবেশ থেকে বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দেব।'

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসচিব এম এম আকাশ প্রমুখ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদও রোডমার্চের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন। যদিও অসুস্থতার কারণে তারা সরাসরি উপস্থিত থাকতে পারেননি।

আয়োজকরা জানান, রোডমার্চটি নারায়ণগঞ্জ, সোনারগাঁ, চান্দিনা ও কুমিল্লা হয়ে আজ বিকেলে ফেনী পৌঁছাবে। কাল শনিবার ফেনী থেকে যাত্রা শুরু করে বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের সামনে সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হবে। রোডমার্চ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশও হবে।

সন্ধ্যায় কুমিল্লা টাউন হলে একটি সমাবেশ হওয়ার কথা। কাল বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম বন্দরের সামনে সমাপনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Banking fix may cost $5b-$6b

Says finance adviser; the amount is way below IMF’s $35b estimate

12h ago