‘নিরাপদ খাদ্যের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতই সমাধান নয়’

‘আমরা মোবাইল কোর্ট থেকে সরে আসতে চাই। আগেও অনেক মোবাইল কোর্ট হয়েছে। তবে জনসাধারণের সচেতনতা চাচ্ছি আমরা। সঙ্গে প্রশিক্ষণও চাচ্ছি। মোবাইল কোর্ট একমাত্র সমাধান নয়।’
ছবি: সংগৃহীত

নিরাপদ খাদ্যের জন্য প্রচলিত আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতই সমাধান নয় বলে উল্লেখ করেছেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সচিব আব্দুন নাসের খান।

তিনি বলেছেন, 'আমরা মোবাইল কোর্ট থেকে সরে আসতে চাই। আগেও অনেক মোবাইল কোর্ট হয়েছে। তবে জনসাধারণের সচেতনতা চাচ্ছি আমরা। সঙ্গে প্রশিক্ষণও চাচ্ছি। মোবাইল কোর্ট একমাত্র সমাধান নয়।'

বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর মোটেল সৈকতে 'স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভূমিকা' শীর্ষক কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে এ কর্মশালা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

আব্দুন নাসের খান বলেন, 'আমাদের এই প্রতিষ্ঠান এখনো শিশু। ২০১৩ সালে আইন পাস হয় এবং ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু হয়। শিশু বয়স হলেও আমাদের ওপর অনেক দায়িত্ব এবং অনেক কাজ চলমান। আমাদের এখন পর্যন্ত জনসংকট রয়েছে। জেলায় জেলায় আমরা অফিসার দেওয়ার চেষ্টা করছি। এখন যারা কাজ করছেন তারা সবাই তরুণ এবং খাদ্যের নিরাপত্তা বিষয়ে পড়াশোনা করে আসা।'

বড় বড় খাদ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিতে অভিযান চালানোর বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'যেভাবে মনে করা হয় ঠিক সেভাবেই করছি আমরা। বড় বড় প্রতিষ্ঠানেও করা হচ্ছে। আপনাদের কাছে যদি সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য থাকে তাহলে আমাদের দিন। এ ছাড়া বর্তমান আইনে অনেক কিছু সংযোজন করার দরকার রয়েছে। খাদ্যে ভেজাল রোধে এবং খাদ্য নিরাপদ করতে আমরা প্রচলিত আইনকে আরও শক্তিশালী করতে এর সংশোধনের প্রস্তাব পাঠিয়েছি।'

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, 'সবাই আমরা যদি মনে করি আমার কাজটা অন্যরা করে দেবে সেটা ভুল। আমাদের কাজ আমাদেরই করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য কারো একার কাজ নয়।'

আব্দুন নাসের খানের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম নিরাপদ খাদ্য অফিসার ফারহান ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশন উন্নয়ন আনোয়ার পাশা। বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া সকালে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

Comments