নেপালে ভূমিকম্পে মৃত বেড়ে ১৩২

আহত হয়েছেন ১০০ জনেরও বেশি মানুষ।

নেপালে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে মৃত বেড়ে ১৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০০ জনেরও বেশি মানুষ।

আজ শনিবার বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে এতে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৩২ জন মারা গেছেন এবং আরও ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। বর্তমানে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ দশমিক ছয় মাত্রার ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১৮ কিলোমিটার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ভূমিকম্পের আঘাতে ধসে পড়া ঘর-ভবন থেকে জীবিতদের বের করার চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা।

ভূমিকম্পে করনালি প্রদেশের দুই জেলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নারায়ণ প্রসাদ ভট্টরাই এএফপিকে বলেছেন, ভূমিকম্পের আঘাতে জাজারকোটে ৯২ জন ও রুকুমে ৪০ জন মারা গেছেন।

ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত দুই জেলায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নেপাল পুলিশের মুখপাত্র কুবের কাথায়াত।

নেপালের করনালি প্রদেশ পুলিশের মুখপাত্র গোপাল চন্দ্র ভট্টরাই এএফপিকে বলেছেন, উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ভারতীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর লখনউ ও পাটনায় শুক্রবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

এর কয়েক ঘণ্টা পর একই এলাকায় ভূমিকম্প-পরবর্তী কম্পন হয় বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস, যার মাত্রা ছিল চার।

ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল।

এই ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, নেপালকে প্রয়োজনীয় যেকোনো সহায়তা দিতে ভারত প্রস্তুত আছে।

২০১৫ সালে নেপালে সাত দশমিক আট মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় নয় হাজার মানুষ মারা যায় এবং ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়। এতে প্রায় আট হাজার স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে যায়, যার ফলে শ্রেণিকক্ষবিহীন হয়ে পড়ে প্রায় ১০ লাখ শিশু। সেই ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে যায় স্মৃতিসৌধ ও রাজপ্রাসাদসহ কয়েকশ দর্শনীয় স্থান।

গত বছরের নভেম্বরে জাজারকোটের নিকটবর্তী দোতি জেলায় পাঁচ দশমিক ছয় মাত্রার ভূমিকম্পে ছয়জনের মৃত্যু হয়।

Comments