হুতিদের ৩ নৌকা ডুবিয়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জানাল, ‘বড় পরিসরে সংঘাত চাই না’

‘আমরা চাই না এই অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ুক, আমরা হুতিদের সঙ্গেও সংঘাত চাই না। সবচেয়ে ভালো হয়—হুতিরা হামলা বন্ধ করুক। এ কথা আমরা বারবার বলে আসছি।’
হুতি
ইয়েমেনের রাজধানী সানায় হুতি বাহিনীতে যোগ দেওয়া নতুন যোদ্ধাদের কুচকাওয়াজ। ডিসেম্বর ২, ২০২৩। ছবি: রয়টার্স

লোহিত সাগরে মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের তিনটি ছোট নৌকা ডুবিয়ে দেওয়ার পর হোয়াইট হাউস বলেছে, তারা মধ্যপ্রাচ্যে 'বড় পরিসরে সংঘাত চায় না'।

আজ সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়ে বলে, গতকাল লোহিত সাগরে মার্কিন বাহিনীর হেলিকপ্টারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার পর সেনারা হুতিদের তিনটি ছোট নৌকা ডুবিয়ে দিয়েছে। এতে নৌকার আরোহীরা মারা যান।

গতকাল বার্তা সংস্থা রয়টার্স হুতি, যুক্তরাষ্ট্র ও পণ্য পরিবহন প্রতিষ্ঠান মেয়ার্স্কের কমকর্তাদের বরাত দিয়ে জানায়, নৌকা ডুবির ঘটনায় হুতিদের ১০ সদস্য মারা গেছেন।

গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা বন্ধের দাবি জানিয়ে ইয়েমেনের হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে।

সিএনএন'র প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক রুট লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট গঠনের পর এই প্রথম মার্কিন বাহিনী সরাসরি হুতিদের ওপর হামলায় চালালো।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল হোয়াইট হাউস জানায়, তারা মধ্যপ্রাচ্যে 'বড় পরিসরে সংঘাত চায় না।'

দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি গতকাল এবিসি নিউজকে বলেছেন, 'আমরা চাই না এই অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ুক, আমরা হুতিদের সঙ্গেও সংঘাত চাই না। সবচেয়ে ভালো হয়—হুতিরা হামলা বন্ধ করুক। এ কথা আমরা বারবার বলে আসছি।'

তবে তিনি আরও বলেন যে, মার্কিন সেনারা আত্মরক্ষার্থে কাজ করে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড গণমাধ্যমকে জানায়, গত শনিবার ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে চারটি ছোট নৌকা নিয়ে মেয়ার্স্ক হাংঝুর জাহাজে হামলা ও জাহাজটি আটকের চেষ্টা করা হয়।

সেই জাহাজ থেকে সাহায্যের আবেদন জানানো হলে সেই অঞ্চলে থাকা মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস আইজেন হাওয়ার ও ইউএসএস গ্রেভলি হুতিদের নৌকা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।

সেন্ট্রাল কমান্ডের বার্তায় বলা হয়, আত্মরক্ষার্থে মার্কিন সেনারা হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়ে। এতে হুতিদের চার নৌকার মধ্যে তিনটি ডুবে যায়। অপর নৌকাটি সেই এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মার্কিন বাহিনীর কারো কোনো ক্ষতি হয়নি।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে কী করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, 'হুতি ও আমাদের মিত্রদের পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমরা হুতিদের হুমকিকে গুরুত্বে সঙ্গে নিয়েছি। আমরা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেব।'

Comments