সিরিয়ায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১৪, আহত অন্তত ৪৩

ইসরায়েলি বিমান হামলায় সিরিয়ার মাসিয়াফ শহরের ওয়াদি আল-ইইউন মহাসড়ক আগুন ধরে যায়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট
ইসরায়েলি বিমান হামলায় সিরিয়ার মাসিয়াফ শহরের ওয়াদি আল-ইইউন মহাসড়ক আগুন ধরে যায়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের হামা প্রদেশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৪৩ জন।

আজ সোমবার সিরিয়ার সংবাদমাধ্যম সানা'র বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।

গতকাল রোববার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

সানা জানিয়েছে, সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দেশটির আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় ছিল বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সঙ্গে যোগাযোগ করে সিএনএন। আইডিএফ সিএনএনকে জানিয়েছে, তারা 'বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বিপরীতে কোনো মন্তব্য করে না।'

আইডিএফের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান। ফাইল ছবি: রয়টার্স
আইডিএফের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান। ফাইল ছবি: রয়টার্স

সিরিয়ার মাসিয়াফ শহরে অবস্থিত জাতীয় হাসপাতালের পরিচালক ড. ফয়সাল হায়দার জানান, হামা প্রদেশের মাসিয়াফ শহরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ হয়েছে। আহত ৪৩ জনের মধ্যে ছয় জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সামরিক বাহিনীর এক সূত্রের বরাত দিয়ে সানা জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম লেবাননের দিক থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে বিমান হামলা শুরু করে। তাদের লক্ষ্য ছিল সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের কয়েকটি সামরিক স্থাপনা।

সূত্র জানান, সিরিয়ার আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।

সানা জানিয়েছে, এই হামলায় মাসিয়াফে অবস্থিত ওয়াদি আল-ইইউন মহাসড়ক ক্ষতির শিকার হয়েছে। আগুন নেভাতে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি যুদ্ধ-নিরীক্ষক সংস্থার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, বেশ কয়েক ধাপে ইসরায়েল হামলা চালায়। সংস্থাটি জানায়, মাসিয়াফে ইরানপন্থি অস্ত্র বিশেষজ্ঞরা অস্ত্র তৈরির কাজ করন। তাদের লক্ষ্য করে এই হামলা হতে পারে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Poll irregularities: Sedition among 3 new charges added against three ex-CECs

BNP filed a case against 24 individuals, including three former chief election commissioners, 10 election commissioners, and top government and police officials, for their alleged role in irregularities during national polls in 2014, 2018, and 2024

32m ago