ইসরায়েলি ড্রোন ঠেকাবে ইরানের ‘মজিদ’ ক্ষেপণাস্ত্র

ইসরায়েলি ড্রোন ঠেকাতে সক্ষম মজিদ ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলি ড্রোন ঠেকাতে সক্ষম মজিদ ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

বেশ কিছুদিন ধরেই ইরানে চলছে বড় পর্যায়ের সামরিক মহড়া। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে প্রস্তুত হচ্ছে দেশটির সামরিক বাহিনী।

এবার ইসরায়েলি ড্রোন হামলা ঠেকাতে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার পরীক্ষা চালিয়েছে তেহরান।

আজ মঙ্গলবার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম মেহের নিউজ জানিয়েছে, 'মজিদ' ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সাফল্যের সঙ্গে ড্রোন হামলা প্রতিরোধের পরীক্ষায় পাস করেছে।

এই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ১৪০৩ 'পাওয়ার অব এয়ার ডিফেন্স'। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এই মহড়া পরিচালিত হয়।  

ইরানে নির্মিত ড্রোনে সংযুক্ত করা হয়েছে মজিদ ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত
ইরানে নির্মিত ড্রোনে সংযুক্ত করা হয়েছে মজিদ ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

আধুনিক যুদ্ধে ড্রোনের গুরুত্ব দ্রুত বাড়ছে। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ, লেবাননে ইসরায়েলের সঙ্গে হিজবুল্লাহর সংঘাত ও ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন—তিন যুদ্ধক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ড্রোন। যার ফলে ইরান ড্রোন হামলা ঠেকানোর সক্ষমতা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে।

বিশেষত, নিম্ন উচ্চতায় উড়ে যাওয়া ড্রোনের (যেগুলো রাডারকে ফাঁকি দিতে সক্ষম) বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে মনোযোগ দিয়েছে ইরান।  

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সর্বশেষ এই পরীক্ষার মাধ্যমে ইরানের আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও উন্নত হয়েছে। আশেপাশের অঞ্চল বা বিশ্বের অন্যান্য জায়গা থেকে আকাশপথে আসা যেকোনো 'হুমকি' মোকাবিলায় ইরান এখন আগের তুলনায় আরও অনেক বেশি সক্ষম—এমনটাই দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

যেভাবে সংঘটিত হয়েছে মহড়া

ইরানে নির্মিত মজিদ ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত
ইরানে নির্মিত মজিদ ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

সর্বশেষ পরীক্ষায় একটি বড় আকারের ড্রোন হামলার পরিস্থিতি তৈরি করা হয়। আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সেন্সর ব্যবহার করে ড্রোন শনাক্ত করে।

এরপর সেগুলোর গতিবিধি অনুসরণ করে হুমকির মাত্রা অনুযায়ী মোকাবিলা করা হয়।  প্রতিবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত ভিডিওতে মহড়ার খণ্ডচিত্র দেখা যায়। 

ইরানের সমন্বিত আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক ভিজুয়াল মনিটরিং ব্যবস্থা প্রয়োগ করে কম উচ্চতায় উড়ে আসা ড্রোন শনাক্ত করে। এরপর মজিদ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সফলভাবে আকাশ পথে ধেয়ে আসা সব 'হুমকি' (ড্রোন) ধ্বংস করতে সক্ষম হয়।

এই মহড়ায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রের মধ্যে একাধিক স্তরবিশিষ্ট ও সুরক্ষিত যোগাযোগ লিংকও পরীক্ষা করা হয়।

রাডার, ক্ষেপণাস্ত্র ও যোগাযোগ নেটওয়ার্ককে সুরক্ষিত রাখতে সাইবার সুরক্ষা উদ্যোগ ব্যবহারের কথাও জানিয়েছে তেহরান।

Comments

The Daily Star  | English

Air purifiers for Dhaka: hope or hype?

DNCC to set up 25-30 such industrial devices in public places to curb pollution; experts skeptical

19h ago