লিপস্টিক কেনার আগে...

সাজগোজের ক্ষেত্রে লিপস্টিকের ব্যবহার অনেক বেশি। তাড়াহুড়ো করে সাজের বেলায় লিপস্টিকের কথাই সবার প্রথমে মাথায় আসে। কিন্তু লিপস্টিকের শেডটি যদি আপনার সঙ্গে মানানসই না হয় তখন সেই লিপস্টিকের জন্যই আপনাকে মলিন লাগতে পারে। কিংবা ধরুন লিপস্টিক ব্যবহারে আপনার ঠোঁটে কালচে দাগ পড়ে গেল, কী হবে ভাবুন তো?
লিপস্টিক
ছবি: সাজ্জাদ ইবনে সাঈদ

সাজগোজের ক্ষেত্রে লিপস্টিকের ব্যবহার অনেক বেশি। তাড়াহুড়ো করে সাজের বেলায় লিপস্টিকের কথাই সবার প্রথমে মাথায় আসে। কিন্তু লিপস্টিকের শেডটি যদি আপনার সঙ্গে মানানসই না হয় তখন সেই লিপস্টিকের জন্যই আপনাকে মলিন লাগতে পারে। কিংবা ধরুন লিপস্টিক ব্যবহারে আপনার ঠোঁটে কালচে দাগ পড়ে গেল, কী হবে ভাবুন তো?

তাই ভালো মানের এবং আপনাকে মানাবে এমন লিপস্টিক কেনা জরুরি। নিজের টোন, ঠোঁটের আকার এবং লিপস্টিকের পিগমেন্টেশন আর মান সম্পর্কে ধারণা থাকলে লিপস্টিক কেনা বেশ সহজ হয়ে যায়। চলুন দেখে নিই নিজের জন্য সঠিক লিপস্টিকটি কিনতে কোন বিষয়গুলো আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে-

লিপস্টিকের ধরন

ত্বকের বা ঠোঁটের ধরনের ওপর নির্ভর করবে কী ধরনের লিপস্টিক কিনতে হবে আপনাকে। লিপস্টিক বিভিন্ন ধরনের হয়- ফুল ম্যাট, সেমি ম্যাট/ক্রিমি, গ্লসি/লিকুইড। ত্বক তৈলাক্ত হলে গ্লসি লিপস্টিক ব্যবহার করলে পুরো মুখেই একটা তৈলাক্ত লুক চলে আসে। ফলে দেখতে খুব একটা ভালো লাগে না। তাই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ম্যাট বা সেমি ম্যাট লিপস্টিকই ভালো। যাদের ত্বকের ধরন শুষ্ক প্রকৃতির তারা ঠোঁটে গ্লসি, শিমারি বা ফ্রস্টেড টেক্সচারের লিপস্টিকগুলো ব্যবহার করতে পারেন। যাদের ত্বক স্বাভাবিক তারা সবরকম লিপস্টিকই অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন।ক্রিমি টেক্সচারের লিপস্টিক শুষ্ক ত্বক বা ঠোঁটের অধিকারীদের জন্য ভালো কাজ করে। যাদের ঠোঁট পাতলা তারাও এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

যদি শীতের সময় লিপস্টিক কিনতে যান বা রাতের কোনো অনুষ্ঠানে ব্যবহার করতে চান তাহলে গ্লসি লিপস্টিক কিনতে পারেন। রাতের অনুষ্ঠানগুলোতে চেহারায় আলাদা দ্যুতি এনে দেয় গ্লসি লিপস্টিক। শীতকালে কমবেশি সবার ঠোঁটই শুষ্ক থাকে বলে এই ঋতুতে গ্লসি লিপস্টিক ব্যবহার করাই ভালো।

ত্বকের আন্ডারটোন

ত্বকের আন্ডারটোন অর্থাৎ ত্বকের ভেতরকার রং সম্পর্কে জানা লিপস্টিক কেনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনি ওয়ার্ম আন্ডারটোনের হলে কমলা বা লালচে রঙ ঘেষা বাদামি, কমলা, খয়েরি টোনের লিপস্টিকগুলোতে চমৎকার দেখাবে। আর কুল আন্ডারটোনের যারা তাদের লাল, বেগুনি, গোলাপি টোনের লিপস্টিকে দারুণ মানায়।

আরও যা যা খেয়াল করবেন

কোনো লিপস্টিক কেনার সময় যদি দেখেন লিপস্টিকের সিল ওপেন করা অথবা তা থেকে যদি কোন বিকট গন্ধ আসে তাহলে বুঝবেন এটি মেয়াদোত্তীর্ণ। একটি লিপস্টিকের মেয়াদ থাকে ১ থেকে দেড় বছরের মতো। মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিক কোনোভাবেই ব্যবহার করবেন না।

আজকাল প্রায় সব কসমেটিকস শপে টেস্টার থাকে। ঠোঁটে লাগানোর আগে টিস্যু পেপার দিয়ে লিপস্টিকটা মুছে নিন। কারণ এটি অনেকেরই ব্যবহৃত। মুছে নিলে ঠোঁটে ইনফেকশন হবার আশঙ্কা থাকবে না। লিপস্টিক ঠোঁটে লাগানোর পর যদি কোনো রকম অস্বস্তি হয় তবে তা যত ভালোই লাগুক না কেন, কিনবেন না। ঠোঁটে লিপস্টিক দেওয়ার পর আপনাকে মানাচ্ছে কি না, আপনি ভালো বোধ করছেন কি না সব বুঝেশুনে সেটি কেনার সিদ্ধান্ত নিন।

    

Comments