রোজায় ত্বক সতেজ রাখতে

এ সময় ত্বকের প্রয়োজন বাড়তি যত্ন।
রোজায় ত্বকের যত্ন
ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাসে যেহেতু সারাদিন পানি ও খাবার খাওয়া হয় না, সেহেতু শরীরে পানির অভাব দেখা দিতে পারে, ত্বকে মলিনতা আসতে পারে। তাই এ সময় ত্বকের প্রয়োজন বাড়তি যত্ন।

এই রমজানে ত্বককে সতেজ রাখার সহজ কিছু টিপস থাকছে এই লেখায়।

প্রথমেই মনে রাখতে হবে, ত্বক ভালো রাখতে হলে মূল যত্ন নিতে হবে ভেতর থেকে। সেজন্য ইফতার এবং সেহরিতে স্বাস্থ্যকর খাবার রাখুন। ভাজাপোড়া ও চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। ফল, শাকসবজি রাখুন ইফতারে। রাতে যেন ঠিকমতো ঘুম হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ইফতার থেকে সেহরির মধ্যে পর্যাপ্ত পানি খান।

এবার আসি বাহ্যিক যত্নের প্রসঙ্গে।

ক্লিনজিং: নিয়মিত ক্লিনজিং যেকোনো রুটিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলোর একটি। আপনি হয়তো বিশ্বাসই করবেন না আপনার উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনার জন্য এটি কতটা প্রয়োজনীয়। ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক ক্লিনজার বেছে নিতে হবে। মেকআপ করুন আর নাই করুন, সকালে এবং রাতে মুখ অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে। বিশেষ করে রমজান মাসে রোজা রাখার কারণে শুষ্ক ত্বক এড়াতে একটি রিফ্রেশিং এবং ময়েশ্চারাইজিং ক্লিনজার বেছে নেওয়া খুবই ভালো সিদ্ধান্ত হবে।

ময়েশ্চারাইজিং: ক্লিনজিংয়ের পর কোনোভাবেই ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে ভুলবেন না। কারণ রোজার সময় ত্বক সহজেই আর্দ্রতা হারায়। তাই মুখ ধোয়ার পর আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। অনেকেই মনে করেন ত্বক তৈলাক্ত হলে ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এ ধারণা সত্যি নয়।

সানস্ক্রিন: শুধু রোজায় না, যেকোনো সময়ই দিনের বেলা সবসময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। ৪ ঘণ্টার বেশি সময় বাইরে থাকলে আবার ব্যবহার করুন।

এক্সফোলিয়েটিং: এক্সফোলিয়েটিং বন্ধ লোমকূপ পরিষ্কার করে, ত্বককে মসৃণ এবং আরও উজ্জ্বল করে। নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করলে ত্বকের রক্ত চলাচল ভালো হয়। বিশেষ করে সকালে করলে মুখের ফোলাভাব কমে যায়। সপ্তাহে একবার বা দুইবার এক্সফোলিয়েটিং জেল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন ডার্মাটোলজিস্টরা।

রমজানে ত্বককে আর্দ্র রাখাটাই চ্যালেঞ্জ। তবে সঠিক উপকরণ ব্যবহার করলে এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েটে থাকলে ত্বক সুন্দর থাকবে।

 

Comments