কাজের চাপ সামলাতে যা করতে পারেন

প্রতীকী ছবি

আমাদের সবাইকে কখনো না কখনো প্রচণ্ড কাজের চাপ মোকাবিলা করতে হয়। ক্রমাগত পিছিয়ে পড়া কিংবা অন্যান্য কাজের চাপে লাইনচ্যুত হলে কখনো কখনো জীবনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার পথ কঠিন হয়ে উঠতে পারে।

তাই কাজের চাপ সামলে নিতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া উচিত। 

গুছিয়ে কাজ করুন 

যারা গুছিয়ে কাজ করে তারা বেশি সফল ও সুখী হয়। তাই আপনি যদি কাজের চাপ কমাতে চান তবে নিজের কাজ নিজেই সাজান। 

টু ডু লিস্ট 

কাজের একটি সুনির্দিষ্ট তালিকার তৈরির মাধ্যমে আপনি আপনার লক্ষ্যে সহজেই পৌঁছাতে পারবেন এবং কাজের ট্র্যাক রাখতে পারবেন। প্রতিদিন বা প্রতি সপ্তাহে কী কী করা দরকার তা ঠিক রাখতে আপনি কোনো অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন। যেমন- টু ডু লিস্ট, টিকটিক, মাইক্রোসফট টু ডু, গুগল টাস্কস ইত্যাদি।

ক্যালেন্ডার ব্যবহার

নিশ্চিত করুন সব গুরুত্বপূর্ণ তারিখ এবং ইভেন্টগুলো আপনার ক্যালেন্ডারে মার্ক করা হয়েছে কি না, যেন পরে কোনো বিভ্রান্তিতে পড়তে না হয়। এজন্য গুগল ক্যালেন্ডার, আই ক্লাউড ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। 

সীমারেখা টানুন

আপনার বন্ধু-পরিবার, সহকর্মী, আপনার টিম এবং আপনার ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট সীমারেখা টানুন।

প্রায়োরিটি

প্রায়োরিটি অর্থাৎ কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা নির্ধারণ করা আপনার কাজের চাপ কমানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একা সবকিছু করার চেষ্টা না করে, আপনার প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের জন্য যেটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটিকে অগ্রাধিকার দিন। নয়তো আপনিই আপনার কাজের বোঝা বাড়িয়ে ফেলবেন।
 
কোনো কাজ করার সময় বেশি চাপ নেবেন না। যদি আপনার হাতে অনেক চাপ থাকে তবে অন্য কাউকে কাজটি বুঝিয়ে দিন। স্ট্রেস কমানোর সবথেকে ভালো উপায় হলো কাজগুলোকে সাজানো যেন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আগে শেষ হয়।

'না' বলতে ভয় পাবেন না

যখন দেখবেন কোনো কিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হচ্ছে না, তখন সে সম্পর্কে সৎ থাকুন, এটি আপনার ভবিষ্যতের জন্যই ভালো হবে। কাজের চাপের মধ্যে থাকলে, নতুন কাজ না নেওয়াই ভালো।  

সম্পর্কের যত্ন নিন 

আপনার সহকর্মী, ক্লায়েন্টদের সম্পর্কে জানুন। তাদের সবচেয়ে ভালো সেবা দিতে তাদের কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করুন। বসের সঙ্গে ঘন ঘন পরামর্শ করুন, বিশেষ করে যদি কর্মক্ষেত্রে এমন কিছু ঘটে যা আপনার বা তার কিংবা উভয়ের জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে তবে তা নিয়ে কথা বলুন। 

নিজের ভালো নিজেই বুঝুন

নিজের সঠিক যত্ন নিন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

কৌশল অবলম্বন

যখনই মনে হবে আপনার কাজের চাপ বেড়ে গেছে তখনই টাইম লিমিট সেট করুন, সেটা হতে পারে দিনেরটা দিনে কিংবা সপ্তাহে। ধরুন, আপনি যদি বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে কোনো একটা প্রজেক্ট শেষ করতে চান, তবে নিশ্চিত করুন অবশ্যই যেন সব কাজ সময়ের মধ্যেই শেষ হয়। এটি আপনাকে ছোটখাটো বিষয়ে আটকে থাকার পরিবর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করবে। 

অনুবাদ করেছেন সাইমা তাবাসসুম উপমা

Comments

The Daily Star  | English

BNP rally begins at Nayapaltan

The rally will conclude at Manik Mia Avenue, where the closing speech will be delivered by Tarique Rahman

42m ago