বইমেলা

মেলায় বিষয়ভিত্তিক বইয়ের চাহিদা বাড়ছে

যতদিন যাচ্ছে তত অনলাইনে বই পড়া, ই-বুক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আবার এই সময়ে এসেও বইমেলায় গল্প, কবিতা, উপন্যাসের পাশাপাশি গবেষণাধর্মী বা বিষয়ভিত্তিক বইয়ের চাহিদা বেড়েছে। শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক বইয়ের খোঁজ করেন মেলায়। তবে বইমেলায় প্রয়োজনীয় বই সবচেয়ে বেশি যা বিক্রি হয় তা হলো বাংলা ও ইংরেজি অভিধান।
মেলায় বিষয়ভিত্তিক বইয়ের চাহিদা বাড়ছে। ছবি :স্টার

যতদিন যাচ্ছে তত অনলাইনে বই পড়া, ই-বুক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আবার এই সময়ে এসেও বইমেলায় গল্প, কবিতা, উপন্যাসের পাশাপাশি গবেষণাধর্মী বা বিষয়ভিত্তিক বইয়ের চাহিদা বেড়েছে। শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক বইয়ের খোঁজ করেন মেলায়। তবে বইমেলায় প্রয়োজনীয় বই সবচেয়ে বেশি যা বিক্রি হয় তা হলো বাংলা ও ইংরেজি অভিধান।

অন্যদিকে আত্মজীবনী, সাক্ষাৎকার, দেশভাগ, ভাষা আন্দোলন, সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক প্রবন্ধ ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রকাশিত বই পড়ে নিজেদের সমৃদ্ধ করছেন অনেকে। একুশে বইমেলায় কয়েজন প্রকাশক জানান, এবার গবেষণাধর্মী বইয়ের পাঠক বেড়েছে। বিশেষ করে তরুণরা নানা বিষয় নিয়ে জানতে চান। ফলে বিষয় ধরে ধরে মেলায় এসে তারা এসব বই খোঁজেন।

এই বিষয়ে ঐতিহ্য প্রকাশক আরিফুর রহমান নাঈম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমরা কবিতার পর সব চেয়ে বেশি বই প্রকাশ করি মননশীল-ধ্যান ধারনার বই। গবেষণা সম্পাদনা ও রচনাবলী আমাদের অনেক বিক্রি হয়। এবং জন্য পাঠকদের কাছে ঐতিহ্য আলাদা গুরুত্ব পায়। 

পাঠক সমাবেশের সাহিদুল ইসলাম বিজু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা সারা বছর মননশীল বই প্রকাশ করি। মেলাকেন্দ্রিক জনপ্রিয় বই আমরা প্রকাশ করি না। আমাদের সিরিয়াস বইয়ের চাহিদা মেলা ছাড়াও থাকে এবং তা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। তাছাড়া সাহিত্য সংস্কৃতি ইতিহাস বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বই প্রকাশ করাই আমাদের উদ্দেশ্য।'

সিরিয়াস বইয়ের জন্য দ্য ডেইলি স্টার বুকস স্টলে পাঠকরা। ছবি: মিজান ফারাবী।

গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সিরিয়াস বইয়ের পাঠক বাড়ছে কি না তা জরিপ ছাড়া বলা মুশকিল। তবে আমার মনে হয়ে, ভালো বা নির্বাচিত বইয়ের পাঠক বাড়ছে এবং এটা আশার সংবাদ। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রাবন্ধিক শেখ সাদী জানান, গবেষণা কোনো উৎসবকেন্দ্রিক কাজ না। আর মেলাকেন্দ্রিক নতুন বইয়ের ছাপা ও সম্পাদনার মান ভালো হয় না। তাছাড়া গবেষণামূলক বইয়ের জন্য তাড়াহুড়ো করা একেবারেই উচিৎ না। এমন বই পরিকল্পনামাফিক সারাবছর প্রকাশ করা ভালো বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মেলায় নতুন বইয়ের মধ্যে রয়েছে ঐতিহ্য থেকে সত্যেন সেনের গ্রাম বাংলার পথে পথে, আতিউর রহমানের বাংলাদেশের অর্থনীতির সমকালীন গতি-প্রকৃতি,  শামসুজ্জামান খানের ঢাকাইয়া ও গ্রামবাংলার রঙ্গরসিকতা, আগামী থেকে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খানের উৎসর্গ; পরিবার প্রজাতি রাষ্ট্র, মহিউদ্দিন আহমেদে প্রথমা থেকে ইতিহাসের বাঁকবদল : একাত্তর ও পঁচাত্তর এবং একাত্তরের মুজিব,  অন্য প্রকাশ থেকে হাসনাত আবদুল হাইর  শাহবাগে ব্যালেরিনা, পলল প্রকাশনী থেকে রাসেল মাহমুদের 'কয়েকছত্র কান্নার গল্প', অন্বেষা পাবলিকেশন থেকে আবু সাঈদ তুলুর বাংলাদেশের সমকালীন থিয়েটার' শ্রাবণ প্রকাশনী থেকে শরাফত হোসেনের `নির্বাচিত উনপঞ্চাশ`, অন্য প্রকাশ থেকে মনদীপ ঘরাইর একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি, নবরাগ থেকে  ড. মো. এনামুল হকের ফান্ডামেন্টাল নলেজ অব লাইব্রেরী সায়েন্স,  সাহস পাবলিকেশন্স থেকে জব্বার আল নাঈমের উপন্যাস 'চিৎকার',বাতিঘর প্রকাশনী থেকে জুবায়ের ইবনে কামালের লেখা প্রথম বই 'বেঁচে থাকার গুজব', ইন্তামিন প্রকাশন থেকে সৈয়দ ইফতেখার  'ছড়ার দেশে, যাচ্ছি ভেসে, হেসে হেসে' কথাপ্রকাশ থেকে ইকতিজা আহসানের সঙ্গে মাসরুর আরেফিনের সাক্ষাৎকার ও পাঠক সমাবেশ থেকে গবেষক সাহাদাত পারভেজের সংগ্রহ, গবেষনা, ভূমিকা ও সম্পাদনায় ৪ খণ্ডে ড্যাডি সমগ্র, মোঃ এনামুল হকের অপারেশন জ্যাকপট (এক নৌককমান্ডোর অহংকার), নাগরী থেকে ড. মোহাম্মদ শেখ সাদীর "লোকগানের ভিন্নধর্মী উত্তরাধিকার: শাহ আবদুল করিম।

Comments