চীনা মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে শেনঝৌ-১৬

চীনের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত গোবি মরুভূমির জিউকুয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা বেজে ৩১ মিনিটে মহাকাশযান শেনঝৌ-১৬ বা ‘স্বর্গীয় যান’ ৩ যাত্রী নিয়ে মার্চ-২এফ রকেটের মাধ্যমে মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
উৎক্ষেপণের পর শেনঝৌ-১৬। ছবি: রয়টার্স
উৎক্ষেপণের পর শেনঝৌ-১৬। ছবি: রয়টার্স

চীন তাদের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশনে ৩ জন নভোচারী পাঠিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২১ সালে চীনের মহাকাশ স্টেশনের কার্যক্রম শুরুর পর এটি মানুষসহ পঞ্চম অভিযান।

চীনের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত গোবি মরুভূমির জিউকুয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা বেজে ৩১ মিনিটে মহাকাশযান শেনঝৌ-১৬ বা 'স্বর্গীয় যান' ৩ যাত্রী নিয়ে মার্চ-২এফ রকেটের মাধ্যমে মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে শেনঝৌ-১৫ মহাকাশযানের মাধ্যমে মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছান ৩ নভোচারী। তাদের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন সাম্প্রতিক অভিযানের ৩ নভোচারী।

এই মহাকাশ স্টেশনের ৩টি মডিউল আছে। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে শুরু করে মোট ১১টি অভিযান শেষে গত বছর এই মহাকাশ স্টেশন পুরোপুরি কার্যকর হয়েছে। শুরুতে মহাকাশ স্টেশনের সবচেয়ে বড় মডিউল, 'লিভিং কোয়ার্টারের' কার্যক্রম শুরু হয়।

৩ নভোচারী। ছবি: রয়টার্স
৩ নভোচারী। ছবি: রয়টার্স

শেনঝৌ-১৬ অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৫৬ বছর বয়সী জিং হাইপেং। তিনি ৯০-এর দশকের শেষের দিকে প্রশিক্ষিত প্রথম ব্যাচের নভোচারী। তিনি এর আগে আরও ৩ বার মহাকাশ অভিযানে গেছেন, যেখানে ২ বারই তিনি ছিলেন অভিযানের নেতা।

জিং-এর সঙ্গে আছেন ঝু ইয়াংঝু ও গুই হাইচাও। ২ নভোচারীর বয়স ৩৬ এবং তারা চীনের তৃতীয় ব্যাচের নভোচারী। এটাই ঝু ও গুইর প্রথম মহাকাশ অভিযান।

সামরিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ঝু মহাকাশ অভিযানে প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করবেন। বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অপর নভোচারী গুই এই অভিযানের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার দায়িত্বে থাকছেন।

Comments