চীনে ভূমিধসে চাপা অন্তত ৪৭, উদ্ধার চলছে

ঝাওতং শহরে শূন্য ডিগ্রির চেয়েও কম তাপমাত্রার মাঝে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। ছবি: চায়না ডেইলি/এএনএন
ঝাওতং শহরে শূন্য ডিগ্রির চেয়েও কম তাপমাত্রার মাঝে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। ছবি: চায়না ডেইলি/এএনএন

আজ সকালে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ইউন্নান প্রদেশে ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত ৪৭ জন চাপা পড়েছেন।

আজ সোমবার চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং হতাহতের সংখ্যা ন্যুনতম রাখার জন্য খোঁজ ও উদ্ধার কার্যক্রমের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

ঝাওতং শহরে শূন্য ডিগ্রির চেয়েও কম তাপমাত্রার মাঝে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। এই দুর্ঘটনায় কেউ প্রাণ হারিয়েছেন কী না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

স্থানীয় গণমাধ্যমের ভিডিওতে উদ্ধারকর্মীদের ধসে পড়া ভবনের ভেতর কাজ করতে দেখা গেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, উদ্ধারকর্মীরা বড় বড় বরফে ঢাকা পাহাড়ের পটভূমিকায় ধসে পড়া দালানের ভেতর উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। মাটিতে মানুষের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিস ও ভাঙা ইট-পাথর পড়ে থাকতে দেখা যায়।

স্থানীয় সময় ভোর ৫টা বেজে ৫১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়য় ভোর ৩টা বেজে ৫১ মিনিটে) ভূমিধসের ঘটনাটি ঘটে। ১৮টি বাড়ি থেকে উল্লেখিত ৪৭ জন চাপা পড়েছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যম দ্য পেপার জানিয়েছে, একজন ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে।

পিপলস ডেইলি বলেছে, এই ঘটনার পর ৫০০ জনেরও বেশি মানুষকে দুর্গত এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

লিয়াংশুই গ্রামের এক বাসিন্দা জিমু নিউজকে জানান, তারা যখন ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন ভূমিধসের ঘটনাটি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী নারী বলেন, 'অনেক জোরে শব্দ হল। এরপর মাটি কেঁপে উঠল। মনে হল যেন বড় একটি ভূমিকম্প হচ্ছে'।

কর্তৃপক্ষ এখনও ভূমিধসের কারণ জানায়নি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস মতে, এ অঞ্চলে পরবর্তী তিন দিন ধরে হালকা বরফপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এই দুর্গম এলাকায় ভূমিধস নিয়মিত ঘটনা। এর চারপাশে বড় পর্বত থাকায় এখানে প্রতিনিয়তই বন্যা ও ভুমিধস হয়ে থাকে।

২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ঝাওতাং শহরের ঝেনজিয়ংয়ে ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত ১৮ জন নিহত হন।

 

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

6h ago