ভারতের হিমাচল প্রদেশে বন্যা-ভূমিধসে ১৬ জনের মৃত্যু

ভারতের হিমাচল প্রদেশে বন্যা-ভূমিধসে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: স্টেটসম্যান
ভারতের হিমাচল প্রদেশে বন্যা-ভূমিধসে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: স্টেটসম্যান

ভারতের হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত থেকে সৃষ্ট বন্যা-ভূমিধসে ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। 

আজ সোমবার ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সোলান জেলায় আকস্মিক ভারী বর্ষণে ৭ জন ও শিমলার সামার হিল এলাকার শিব মন্দিরে ভূমিধসে ৯ জন মারা গেছেন।

সোলানের কান্দাঘাট উপজেলার মামলিঘ গ্রামের ২টি বাড়ি ও ১টি গোয়ালঘর পানিতে ভেসে গেছে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম এএনআই। একই গ্রাম থেকে ৬ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। সুখবিন্দর আরও জানান, তিনি মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সব ধরনের সহযোগিতা দিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

হিমাচলের জরুরি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মোট ৭৫২টি সড়ক বন্ধ রয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী রোববার জানান, শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাখতে রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজ সোমবার বন্ধ থাকবে।

রাজ্যের শিক্ষা বোর্ড একটি নোটিশ জারি করে জানিয়েছে, ১৪ আগস্টের পূর্বনির্ধারিত সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, হিমাচলের বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকবে। চামবা, কাংরা, হামিরপুর, মান্দি, বিলাশপুর, সোলান, শিমলা, কুল্লু ও সিরমাউর জেলার কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন এলাকায় অত্যন্ত ভারী ও অস্বাভাবিক পর্যায়ের ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।

এ বছর ভারতের হিমাচল প্রদেশ বৃষ্টিপাত, বন্যা ও ভূমিধসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কর্মকর্তারা রোববার জানান, বৃষ্টিতে এ যাবত ৭ হাজার ২০ কোটি রুপিরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

২৪ জুন থেকে হিমাচল প্রদেশে বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন কারণে ২৫৭ জন নিহত হয়েছেন।

কর্মকর্তারা জানান, '২৫৭ জনের মধ্যে ৬৬ জন ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় প্রাণ হারান। ১৯১ জন সড়ক দুর্ঘটনা ও অন্যান্য কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। ৩২ জন নিখোঁজ আছেন। আরও ২৯০ জন আহত হয়েছেন।'

রাজ্যের ১ হাজার ৩৭৬টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরও ৭ হাজার ৯৩৫টি বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

At least 10 incidents in 7 years: Why clashes between CU students and locals keep happening

Housing shortage, resentment, and administrative inaction blamed for repeated clashes

2h ago