মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাক রাজার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাক। ছবি: রয়টার্স
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাক। ছবি: রয়টার্স

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাক রাজকীয় ক্ষমার জন্য আবেদন করেছেন।

আজ মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকারের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। ২ সপ্তাহেরও কম সময় আগে দুর্নীতির দায়ে নাজিব রাজ্জাককে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় তহবিল ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদ (১এমডিবি) থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাজিবকে (৬৯) এই শাস্তি দেওয়া হয়। এই শাস্তির বিরুদ্ধে গত ২৩ আগস্ট নাজিবের আইনজীবীদের দায়ের করা আপিলের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে মালয়েশিয়ার সর্বোচ্চ আদালত।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি নাজিবকে ৫ কোটি ডলার জরিমানাও করা হয়েছে। তবে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

মালয়েশিয়ার সংবিধান মতে, যেকোনো আইনপ্রণেতা ১ বছরের বেশি কারাদণ্ড পেলে ১৪ দিনের মধ্যে রাজার কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করার সুযোগ পান। অন্যথায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনি তার আসন হারান।

পার্লামেন্টের স্পিকার আজহার আজিজান হারুন আজ সোমবার জানান, নাজিবের ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি আইনপ্রণেতা হিসেবে বিবেচিত হবেন।

স্পিকার আজহার এক বিবৃতিতে জানান, নাজিবের আবেদন নাকচ হলেই কেবল তিনি সংসদে আসন হারাবেন।

নাজিবের এক আইনজীবী ক্ষমাপ্রার্থনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে তিনি আর কোনো তথ্য জানাতে অস্বীকার করেন।

ক্ষমার আবেদনটি পর্যালোচনা করবে 'ক্ষমা বোর্ড', যার প্রধান হচ্ছেন দেশটির রাজা সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমাদ শাহ। রাজা বা বোর্ড চাইলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর মতামতকে বিবেচনায় নিতে পারে।

মালয়েশিয়ার রাজা সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমাদ শাহ। ছবি: এপি
মালয়েশিয়ার রাজা সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমাদ শাহ। ছবি: এপি

মালয়েশিয়ার প্রথাগত সুলতানরা পর্যায়ক্রমে এক অনন্য প্রক্রিয়ায় দেশটির রাজার ভূমিকা পালন করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব একজন অভিজাত ব্যক্তির সন্তান এবং মালয়েশিয়ার কয়েকজন সুলতানের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

পূর্ণ ক্ষমা পেলে নাজিব সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে পারবেন। এমন কী, তিনি পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর পদেও ফিরতে পারেন।

তবে নাজিবের বিরুদ্ধে আরও ৪টি মামলা চলছে, যার প্রতিটিতেই কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

রোববার নাজিব হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমের মতে, তিনি সোমবার আদালতে হাজিরা দিয়েছেন।

নাজিবের সহযোগী রোববার রয়টার্সকে জানান, তার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল এবং তিনি নিয়মিত মেডিকেল পরীক্ষা করাচ্ছেন। তবে কেনো সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, সে বিষয়ে কোন তথ্য জানা যায়নি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Abdul Hamid returns home after treatment in Thailand

Two police officials were withdrawn and two others suspended for negligence in duty regarding the former president's departure from the country

2h ago