নেপালের পোখারায় ৭২ আরোহী নিয়ে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, নিহত অন্তত ৪০
আজ রোববার ৭২ আরোহী নিয়ে একটি উড়োজাহাজ নেপালের কাস্কী জেলার পোখারায় বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আজ রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
এটি গত ৫ বছরের মধ্যে নেপালের সবচেয়ে ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা। স্থানীয় সংস্থা ইয়েতি এয়ারলাইন্স এই উড়োজাহাজ ও ফ্লাইট পরিচালনার দায়িত্বে ছিল।
নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জগন্নাথ নিরৌলা জানান, 'উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আবহাওয়া অনুকূল ছিল'।
স্থানীয় টিভি চ্যানেলে দেখা গেছে, ঘটনাস্থল থেকে ঘন কালো ধোঁয়া উঠছে এবং উদ্ধারকর্মী ও অসংখ্য স্থানীয় জনগোষ্ঠী ধ্বংসস্তূপের চারপাশে জমায়েত হয়েছেন।
এর আগে ২০১৮ সালের নেপালে ঢাকা থেকে আসা ইউএস-বাংলা ড্যাশ ৮ টার্বোপ্রপ ফ্লাইট কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত হলে ৫১ যাত্রী নিহত হন।
ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বারতাউলা, 'উড়োজাহাজে ৬৮ যাত্রী ও ৪ ক্রু সদস্য ছিল। উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা জানি না কেউ বেঁচে আছেন কী না।'
তিনি আরও জানান, ক্রুর মধ্যে ২ জন বৈমানিক ও ২ জন বিমানবালা ছিলেন। এছাড়াও, যাত্রীদের মধ্যে ২ শিশুর কথাও বলেন তিনি।
ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এটিআর৭২ উড়োজাহাজটি পোখারা থেকে কাঠমান্ডু যাতায়াত করে।
নেপাল বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, উড়োজাহাজে ভারতের ৫, রাশিয়ার ৪, দক্ষিণ কোরিয়ার ২ এবং আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনার ১ জন করে যাত্রী ছিলেন।
ফ্লাইট্রাডার২৪ সাইটের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উড়োজাহাজটি ১৫ বছরের পুরনো।
নেপালের সংবাদ মাধ্যম দ্য হিমালয়ান কাস্কী জেলার প্রধান জেলা কর্মকর্তা টেক বাহাদুর কেসির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি সেতি নদীর কাছাকাছি জায়গায় বিধ্বস্ত হয়।
প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কামাল দাহাল এক টুইট বার্তায় এই দুর্ঘটনার বিষয়ে তার উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। তিনি নেপালের সকল সরকারি সংস্থা, নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয়দের উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পর তিনি মন্ত্রীসভার জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন।
Comments