কারাবন্দি থেকে গৃহবন্দি হতে পারেন সু চি

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সু চি (৭৮) ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে আটক আছেন। সে সময় সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে।
মিয়ানমারের নেত্রী অং সা সু চি। ফাইল ছবি: রয়টার্স
মিয়ানমারের নেত্রী অং সা সু চি। ফাইল ছবি: রয়টার্স

মিয়ানমারের সামরিক সরকার ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে কারাবন্দী না রেখে রাজধানী নেপিডোতে গৃহবন্দী রাখার বিষয়টি বিবেচনা করছে।

গতকাল বুধবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সু চি (৭৮) ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে আটক আছেন। সে সময় সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে।

এপি এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আটক কয়েদীদের দয়া দেখানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে সু চিকে কারাগার থেকে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে।

বিবিসি 'কারাগার সংশ্লিষ্ট' সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সু চিকে ইতোমধ্যে সরকারী কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত এক বাড়িতে সরিয়ে নেওয়া হয়ে থাকতে পারে।

রয়টার্স সু চি'র অবস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনীর কোনো মুখপাত্রকে তাৎক্ষনিকভাবে পাওয়া যায়নি। সু চি'র আইনজীবী ও ছায়া সরকারের (এনইউজি) মুখপাত্র প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করেনি।

দুর্নীতি, প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধে মোট ৩৩ বছর কারাদণ্ড ভোগ করছেন সু চি। তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

২ বছর আগে আটক হওয়ার পর থেকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেও সম্প্রতি থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রামুদউইনাই সু চি'র সঙ্গে দেখা করেন।

১৯৮৯ সালে প্রথমবারের মতো গৃহবন্দি হন সু চি। ১৯৯১ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার জেতেন। ২০১০ সালে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি পান তিনি।

২০১৫ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেন। সামরিক বাহিনীর আংশিক সংস্কারের পর গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেন।

তবে ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের পর এ প্রক্রিয়া আবারো থেমে যায়। 

Comments