চলন্ত বাসে ডাকাতি-সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: আরও ২ আসামির জবানবন্দি

টাঙ্গাইলে ডাকাতির কবলে পড়া বাসটি। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আরও দুই আসামি। তারা হলেন- সোহাগ মণ্ডল (২০) ও বাবু হোসেন জুলহাস (২১)।

আজ বুধবার বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর) এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন রিমান্ডে থাকা ওই দুজনকে আদালতে উপস্থাপন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন করিম তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহম্মেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ নিয়ে বাস ডাকাতির ঘটনায় জড়িত মোট ১৩ আসামির মধ্যে ৯ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন। বাকি ৪ জনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দা পুলিশ।

এর আগে গত সোমবার রাতে ডাকাতি এবং সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ডাকাতদলের সন্দেহভাজন ১০ জনকে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর) এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন গ্রেপ্তার ১০ জনকে আদালতে উপস্থাপন করে ৬ জনের প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড প্রার্থনা করলে আদালত তাদের প্রত্যেকের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বাকি ৪ জন পৃথক চারটি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ৩ আগস্ট কুষ্টিয়া থেকে নারায়নগঞ্জগামী ঈগল এক্সপ্রেসের একটি চলন্ত বাসে ডাকাতি করে ১৩ জন। বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ অর্থ, অন্যান্য মালামাল লুট এবং এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে তারা।

ঘটনার দিনই হেকমত আলী নামে একজন বাসযাত্রী বাদি হয়ে মধুপুর থানায় ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা ডাকাতের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি এবং ধর্ষণ মামলা করেন।

ঘটনার একদিন পর টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর) এর একটি দল টাঙ্গাইল নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে রাজা মিয়া নামে এক সন্দেহভাজন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের মাধ্যমে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়।

পরেরদিন মামলাটির তদন্তভার মধুপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হোসেনের কাছ থেকে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর) এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

সেদিনই নতুন তদন্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল পাশ্ববর্তী গাজীপুরে জেলার কালিয়াকৈর থেকে ডাকাত দলের সন্দেহভাজন আরও দুই সদস্য মো. আউয়াল (৩০) এবং মো. নুরুন্নবীকে (২৫) গ্রেপ্তার করে।

পরদিন এই ৩ জন সন্দেহভাজন ডাকাত টাঙ্গাইলের পৃথক দুটি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর আদলত তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

৭ আগস্ট ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে বাস ডাকাতির ঘটনার সন্দেহভাজন মূল পরিকল্পনাকারী টাঙ্গাইলের মধুপুরের রতন হোসেনসহ ডাকাতদলের সন্দেহভাজন মোট ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

 

Comments

The Daily Star  | English
political reform in Bangladesh

Pathways to a new political order

The prospects for change are not without hope in Bangladesh.

11h ago