নেত্রকোণায় পুলিশ-বিএনপি-আ. লীগ সংঘর্ষ: ২ মামলায় আসামি প্রায় ৮০০

গত বুধবার মদন উপজেলার চাঁনগাও ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোণা জেলা শহরে ও মদন উপজেলায় বিএনপি, পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক ২টি মামলা করেছে পুলিশ। মামলাটি ২টিতে প্রায় ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে করেছে পুলিশ।

আজ শনিবার নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পুলিশ ১৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।

গত ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে নেত্রকোণা জেলা শহরের ছোটবাজার এলাকায় বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের সময় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় নেত্রকোণা মডেল থানায় বিএনপির ৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। ওই দিন রাতেই নেত্রকোণা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খন্দকার আল মামুন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নেত্রকোণা জেলা শহরের ছোটবাজার এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের জন্য দলটির নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। পরে দুপুরে শহরের প্রধান সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ চেষ্টা চালায়। তখন বিএনপি-কর্মীদের রাস্তায় অবস্থান ঠেকাতে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ৮ পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়।

অপরদিকে জেলার মদন উপজেলায় গত বুধবার সকালে বিএনপির নেতা-কর্মীরা শাহপুর ঈদগাহ মাঠে বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৩০ জন বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ওই দিন রাতেই মামলা করে পুলিশ।

মদন থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ দত্ত বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ মামলার ৩ আসামিকে ইতোমধ্যে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মদন থানা পুলিশের ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, গত বুধবার বিএনপি নেতা-কর্মীদের হামলায় পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল আলমকে প্রধান আসামি করে মামলাটি করা হয়। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

Comments

The Daily Star  | English
NID cards of Sheikh Hasina and family locked

NIDs of Hasina, 9 family members 'locked'

The NIDs of the 10 listed individuals were locked through an official letter on April 16

31m ago