ছাগলে জমির ফসল খাওয়ায় সংঘর্ষে নিহত ১

হত্যা মামলার আসামির বাড়ি-খামারে আগুন, পুকুরে বিষ

পাবনা
হামলাকারীরা পুকুরে বিষ প্রয়োগ করার পর স্থানীয়রা মৃত মাছ সংগ্রহ করছে। ছবি: স্টার

পাবনার সুজানগর উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামে দুই পরিবারের সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মুরগি ও গরুর খামারে আগুন এবং পুকুরে বিষ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে মুরগি, গরু ও মাছ মারা গেছে বলে জানা গেছে।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতিসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিরা পলাতক আছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

গত রোববার দিবাগত রাতে চর মানিকদিয়ার গ্রামে ২ পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও ৪ জন আহত হন। 

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, এলাকার বিশ্বাস ও শেখ পরিবারের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জের ধরে রোববার রাতে এ সংঘর্ষ হয়।

এ ঘটনায় ১৭ জনকে আসামি করে সুজানগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। 

ঘটনার জের ধরে মোকাই শেখ ও তার আত্মীয়-স্বজনরা আজম আলী বিশ্বাসের একটি পোল্ট্রি মুরগির ফার্ম, একটি গবাদি পশুর ফার্ম ও আক্কাছ আলী বিশ্বাসের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। 
আগুনে একটি বাছুর, ১ হাজার পোল্ট্রি মুরগি ও বাচ্চা এবং আক্কাছ আলী বিশ্বাসের বাড়ির কয়েক মণ পাট পুড়ে যায়। এছাড়া হামলাকারীরা একটি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মেরে ফেলে। 

মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা আজম আলি বিশ্বাসের স্ত্রী হালিমা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, 'হামলায় আমাদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। হামলার ভয়ে অনেকেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।' 

সুজানগর থানার ওসি আব্দুল হান্নান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হত্যাকাণ্ডের পর উত্তেজিত লোকজন কয়েকটি জায়গায় হামলা করে। তবে আসামিদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।'

ওই এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত আছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

9h ago