পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় অভিযোগ গঠন

প্রশান্ত কুমার হালদার। ফাইল ছবি

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৪ জনের বিরুদ্ধে কানাডায় ৮০ কোটি টাকা পাচার ও ৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সেই অভিযোগ পড়েন। এরপর এই মামলায় কারাগারে থাকা সুকুমার মৃধা, তার কন্যা অনিন্দিতা মৃধা, শঙ্খ ব্যাপারী ও অবন্তিকা বড়াল নিজেদের নির্দোষ হিসেবে উল্লেখ করে ন্যায়বিচারের দাবি জানান।

এর আগে বিচারক এ মামলার অভিযোগ থেকে ৪ জনকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে সুকুমার ও অনিন্দিতার জামিন আবেদন নাকচ করে দেন আদালত।

অভিযোগপত্রে পি কে হালদার ও অন্য ৯ জনকে 'পলাতক' হিসেবে দেখানো হয়েছে এবং তাদের অনুপস্থিতিতেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

এরপর পি কে হালদারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর আদালত এ মামলার শুনানি শুরুর আগামী ২২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পিকে হালদার প্রায় ২০টি মামলার আসামি। তবে, আজই প্রথম তার বিরুদ্ধে কোনো মামলায় অভিযোগ গঠন করা হলো।'

" layout="left"]

আরও যে ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারে পরোয়ারা জারি করা হয়েছে, তারা হলেন— পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, ভাই প্রীতিশ কুমার হালদার, সহযোগী ও ঘনিষ্ঠজন পূর্ণিমা রানী হালদার, অমিতাভ অধিকারী, রাজীব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায়, উত্তম কুমার মিস্ত্রি ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

আর এ মামলায় কারাগারে থাকা ৪ জনের মধ্যে সুকুমার, শঙ্খ ও অনিন্দিতা বিভিন্ন তারিখে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন গত ১০ ফেব্রুয়ারি পি কে হালদারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে ৫৬ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ভারতে গ্রেপ্তার পি কে হালদার তার নামে এবং বিভিন্ন আসল ও জাল কোম্পানি ও ব্যক্তির নামে বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের ডিরেক্টরেট অব এনফোর্সমেন্ট (ইডি) গত ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগর থেকে কয়েক মিলিয়ন টাকার আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগে পি কে হালদারসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করে।

ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক  পি কে হালদার ১৭৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করেছেন। তিনি এসব অ্যাকাউন্টে ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা জমা রাখেন এবং নামে-বেনামে ৬ হাজার ৭৬ কোটি টাকা উত্তোলন করেন।

প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি এ মামলাটি করে দুদক।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh, Japan for concluding EPA soon to boost economic, trade ties

Japanese PM Ishiba described Bangladesh as a long-standing friend and said that Japan would stand by Bangladesh in its endeavour for a democratic transition

2h ago