পুলিশ হেফাজতে সাবেক দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু: ৪ পুলিশসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে পিবিআই

দুদকের সাবেক উপপরিচালক ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লা। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ হেফাজতে অবসরপ্রাপ্ত দুদক কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লার মৃত্যুর ঘটনায় নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল ইসলামসহ নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার।

আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ দায়েরের পর সেটিকে আমলে নিয়ে বিচারক ড. বেগম জেবুননেছা থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করতে আদেশ দিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআইকে) তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে সকালে শহীদুল্লার স্ত্রী ফৌজিয়া আনোয়ার নয় জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—চান্দগাঁও থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ইউসুফ, এএসআই সোহেল রানা, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মবিনুল হক, চান্দগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা এসএম আসাদুজ্জামান (৫২), মো. জসীম উদ্দীন (৩৭), মো. লিটন (৪৮), রনি আক্তার তানিয়া (২৬) ও কলি আক্তার (১৯)।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে চান্দগাঁও থানার ওসি, পরিদর্শক (তদন্ত), এএসআইসহ নয় জনকে আসামি করে মামলার আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি থানায় রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে আদেশ দিয়েছেন।'

পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, শহীদুল্লাকে হৃদরোগের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ দিতে দেয়নি পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের অবহেলা ও নির্যাতনের কারণেই হেফাজতে তার মৃত্যু হয়েছে। সম্পত্তির বিরোধে আদালতে ভুয়া মামলা দায়ের করে তাতে পরোয়ারা জারি করে পুলিশের মাধ্যমে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ বলেছে, শহীদুল্লা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান কর্মকর্তারা। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এই ঘটনায় দুই এএসআইকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Govt accepted demands of JnU protesters: UGC chairman

The protesters said they would hold a press briefing at 8:00pm

1h ago