মারধরে ছাত্রলীগ কর্মী আইসিইউতে, সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জ সদরে আবির হোসেন (২২) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের ঘটনায় মিরকাদিম পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিনকে প্রধান আসামি করে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে ভুক্তভোগী আবির হোসেনের বাবা নাছির মিয়া শহিদুল ইসলাম শাহিনসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম শাহীন মিরকাদিম পৌর আওয়ামী লীগের একাংশের সভাপতি।
অভিযোগপত্রে উল্লেখিত অন্য অভিযুক্তরা হলেন- মিরকাদিমের পূর্বপাড়া এলাকার বাবুল আহাম্মেদ (৪২), মাসুদ ফকরি খোকন (৬০), টেংগর এলাকার মো. সম্পদ মিয়া (২৫), পূর্বপাড়া এলাকার সাগর (২৬), তিলার্দিচর শরিয়তনগর এলাকার ইমতিয়াজ সানি, মো. নাজিম (২৮) এবং নৈদিঘিরপাথরের বাসিন্দা খশরু নোমান (৪৫)।
অভিযোগে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রিকাবিবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন শেষ করে আবির হোসেন (২২) মিরকাদিম পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিনের বাড়ির সামনে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় শহিদুল ইসলাম শাহিনসহ উল্লেখিত অভিযুক্তরা পূর্ব শত্রুতার জেরে আবিরের পথরোধ করে। পরে সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিন আবিরের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাকে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে অভিযুক্তরা আবিরকে কুপিয়ে মাথা, বুক, কোমড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করে।
স্থানীয়রা আহত অবস্থায় আবিরকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জাপান-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে তিনি জাপান-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহীন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। শুনেছি মাদকাসক্তদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়েছে। আমি ১০ বছর মেয়র ছিলাম, কারো সঙ্গে কখনো এমন আচরণ করিনি। যাকে মারধর করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে ২-৩দিন আগেও থানায় মামলা হয়েছে। আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।'
আবির ছাত্রলীগের কর্মী উল্লেখ করে মীরকাদিম ছাত্রলীগের পৌর ইউনিটের সভাপতি খালেদ মোহাম্মদ রকি বলেন, 'আবির ছাত্রলীগের কোনো পদে নেই তবে সে মিরকাদিম ছাত্রলীগের একজন কর্মী। ছাত্রলীগের সব প্রোগ্রামে সে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে। গতকাল রাতে সে হামলার শিকার হয়েছে।'
জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুজ্জামান বলেন, 'মারামারির ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
Comments