চট্টগ্রামে বাসায় ইয়াবা তৈরির মামলায় ৩ জনের ২০ বছরের কারাদণ্ড

চট্টগ্রাম নগরীর বেপারীপাড়া বাসায় মেশিন বসিয়ে ইয়াবা তৈরি ও তা বিক্রি এবং আড়াই লাখ ইয়াবা জব্দের মামলায় ৩ জনকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

চট্টগ্রাম নগরীর বেপারীপাড়া বাসায় মেশিন বসিয়ে ইয়াবা তৈরি ও তা বিক্রি এবং আড়াই লাখ ইয়াবা জব্দের মামলায় ৩ জনকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।

আজ সোমবার চট্টগ্রামের ৫ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক নার্গিস আক্তার এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- শ্যামল মজুমদার, মো. মামুন হোসেন ওরফে মামুন, মো. আয়েশা সিদ্দিক এবং আবদুল্লাহ আল আমান। এদের মধ্যে শ্যামল, মামুন ও আয়েশাকে আদালত ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং আমানকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফরিদ আহমেদ।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফরিদ আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আদালত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০-এর ১৯(১) ধারায় তিনজনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।'

তিনি আরও বলেন, 'এছাড়া আদালত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০-এর ২০ ধারায় তাদের আরও ৬ বছরের কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।'

'আদালত আমানকে জেলহাজতের পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের জেল দিয়েছেন,' বলেন ফরিদ।

নগর গোয়েন্দা পুলিশ ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর ডবলমুরিং থানার বেপারীপাড়া কমিশনার গলির আবুল হোসেন সওদাগরের ৫তলা ভবনের তৃতীয় তলায় ইয়াবা তৈরির এ কারখানার সন্ধান পান, উদ্ধার করা হয় ১০০ কেজি ইয়াবা তৈরির পরিমাণ উপাদান, সরঞ্জাম ও আড়াই লাখ পিস ইয়াবা। গ্রেপ্তার করা হয় কারিগরসহ ৪ জনকে। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানিয়েছিল, আসল ইয়াবার সঙ্গে বাসায় বানানো ভেজাল ইয়াবা মিশিয়ে মাদকসেবীদের কাছে বিক্রি করতো তারা। এ ঘটনায় তৎকালীন ডিবির পরিদর্শক মো. কামরুজ্জমান বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ওই মামলায় ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়।

Comments