১০ দিনেও জানা যায়নি বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন হত্যার কারণ

ফারদিন। ছবি: সংগৃহীত

বুয়েটের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশকে হত্যার পর ১০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। তবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে পারেনি।

হত্যার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে। গতকাল তারা জানিয়েছে, তাদের কাছে দেওয়ার মতো নতুন করে কোনো তথ্য নেই।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) দাবি করেছে, মাদক চক্রের সদস্যরা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। তবে হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য এখনো অজানা।

গোয়েন্দা বিভাগ ও র‌্যাব হত্যার স্থান সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী তথ্য দিয়েছে। যা বিষয়টিকে আরও জটিল করেছে।

ফারদিনকে কোথায় হত্যা করা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি ডিবি। তবে র‌্যাব জানিয়েছে, নারায়ণগঞ্জের চোনপাড়া বস্তির আশপাশে ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে।

তদন্তকারীরা আরও বলেছেন, তারা তার হত্যাকাণ্ডে ফারদিনের বন্ধু আমতুল্লাহ বুশরার কোনো সম্পৃক্ততা খুঁজে পাননি। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফারদিনের বাবা কাজী নুরুদ্দিনের দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে প্রধান অভিযুক্ত বুশরাকেই শুধু গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিখোঁজের ৩ দিন পর গত ৭ নভেম্বর বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিনের অর্ধগলিত মরদেহ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।

ডিবির উপ-কমিশনার (মতিঝিল বিভাগ) রাজিব আল মাসুদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ফারদিন হত্যা মামলার নতুন কোনো তথ্য নেই।'

 'তাছাড়া, আমরা এখন পর্যন্ত এই মামলায় বুশরার জড়িত থাকার বিষয়টি খুঁজে পাইনি,' তিনি যোগ করেন।

এদিকে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তারা চোনপাড়া বস্তির মাদক ব্যবসায়ী রায়হান মাহমুদ ও তার চক্রের জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে পেরেছেন।

তিনি বলেন, 'রায়হান ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের পর হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্ট হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
How artistes flamed cultural defiance in July

How artistes flamed cultural defiance in July

From stage to street, artistes and activists led a cultural revolt against brutality and censorship

7h ago