ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে নেওয়া হলো ৩ জঙ্গিকে

ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু
আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এটিবি) ৩ সদস্যকে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়াসহ ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৩ সদস্যকে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়াসহ ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়।

ওই ৩ জন হলেন- জিকরুল্লাহ, আরিফুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম। বর্তমানে তারা এই হত্যা মামলায় কারাগারে আছেন এবং তাদের কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়। আনসার আল ইসলামের আরও ২ সদস্য আকরাম হোসেন হাসিব ওরফে বড় ভাই ও জুনায়েদ আহমেদ ওরফে তাহের পলাতক।

এর আগে, গতকাল একাধিক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এই ৩ জনকে আদালতে হাজির করার সময় ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়ে কারা সদরদপ্তরে চিঠি পাঠায় পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগ পুলিশ কমিশনারের মাধ্যমে এ চিঠি পাঠায়। যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।

এছাড়া তাদের আদালতে নেওয়ার সময় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান সহকারী সরকারি কৌঁসুলি মো. সালাউদ্দিন হাওলাদার।

আজ ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ সামিদুল ইসলাম এই মামলার বাদী মনির হোসেন মাসুদের জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

আদালতের নথিতে বলা হয়েছে, এর আগে একই আদালত বাদীকে ৬৩ বার তলব করেছিলেন। এমনকি তাকে গ্রেপ্তারের আদেশও দিয়েছিলেন। কিন্তু, প্রসিকিউশন এবং পুলিশ তাকে হাজির করতে পারেনি। প্রতিবারই বলা হয়েছে, তিনি সৌদি আরবে ছিলেন।

কিন্তু, মামলার বাদী মাসুদ এখন ঢাকায় থাকেন এবং আরামবাগে একটি মুদি দোকান চালান।

এর আগে, আসামিদের পক্ষে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা শাহ মো. মশিউর রহমানকে জেরা করা হয়।

ওয়াশিকুর হত্যার ঘটনায় ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি আদালতে আনসার আল ইসলামের ৫ সদস্যকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেয় ডিবি।

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের একটি দল ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে ব্লগার ওয়াশিকুরকে হত্যা করে। ২০১৬ সালের ২০ জুলাই এ মামলায় ৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

প্রসিকিউশন জানায়, ৪০ জনের মধ্যে ২৪ জন সাক্ষী আদালতে তাদের জবানবন্দি দিয়েছেন।

আদালত ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন। কিন্তু, দণ্ডবিধির ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারা যুক্ত করতে প্রসিকিউশনের আবেদনের পর সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়।

২০২০ সালের ৪ নভেম্বর আদালত অভিযোগ পুনর্নির্ধারণ করেন।

অভিযোগ পুনর্বিবেচনার পর, কিছু প্রধান সাক্ষীকে আবারও তলব করা হয়। কিন্তু, মাসুদ কখনোই হাজির হননি বলে প্রসিকিউশন জানিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Iran's underground Natanz site hit during Israel strikes: UN nuclear watchdog

Israel says conducted 'extensive strikes' in Iran's west, while explosions near Tel Aviv, sirens blare across Israel; smoke rises after explosion in Iran’s Tabriz

10h ago