ফাঁড়িতে হামলা করে ‘ছিনিয়ে নেওয়া’ মাদক চোরাকারবারি হানিফসহ ৫ জন গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের কালুরঘাটে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া মাদক চোরাকারবারি হানিফকে ৪ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারিতে একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে এবং বোয়ালখালীর চরণদ্বীপ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ বুধবার নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ আলী হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-হানিফ (২৬), তার ভাই মো. ইয়াছিন (২৪), মহিউদ্দিন শরীফ (১৯), রেজাউল করিম (২০) ও মো. হৃদয় (২১)।
গত শনিবার রাতে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার কালুরঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করে হানিফকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তার অনুসারীরা। হানিফের সঙ্গে মহিউদ্দিন শরীফকেও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
পুলিশ কর্মকর্তা আলী হোসেন বলেন, 'সেদিনের হামলার পর হানিফ চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তাকে ধরার জন্য পুলিশ ও ডিবি পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারিতে ঢাকাগামী একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে হানিফসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে চরণদ্বীপ থেকে আরও ১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।'
'পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার পর হানিফ রাঙ্গুনিয়া চলে যান। সেখান থেকে পটিয়া উপজেলা ও বোয়ালখালী উপজেলায় লুকিয়ে ছিলেন তিনি,' বলেন তিনি।
গত শনিবার রাতে চান্দগাঁও থানাধীন কালুরঘাট এলাকা থেকে ৫ হাজার ইয়াবাসহ হানিফ ও শরীফকে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের সহযোগীরা পরে কালুরঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষের সময় গুলিতে আহত হানিফের বোন নাজমা হাসপাতালে মারা যান।
হামলার ঘটনায় পুলিশ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে দুটি মামলা করে।
মামলায় এ পর্যন্ত মোট ৮ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানায়, হানিফের বিরুদ্ধে নগরের চান্দগাঁও থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৫ টি মামলা আছে। তার ভাই ইয়াসিনের বিরুদ্ধেও মাদক মামলা আছে।
Comments