ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ও ৩১ ধারা নিয়ে হাইকোর্টে শুনানি
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ও ৩১ ধারার সাংবিধানিক প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে ৩ বছর আগের রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে হাইকোর্টে।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শুরু করেন এবং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।
আইনের ২৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি, ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে (ক) ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কোনো তথ্য-উপাত্ত পাঠান, যা আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক অথবা মিথ্যা বলিয়া জানা থাকা সত্ত্বেও, কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত, অপমান, অপদস্থ বা হেয় প্রতিপন্ন করার অভিপ্রায়ে প্রকাশ বা প্রচার করেন, (খ) রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করার বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে অপপ্রচার বা মিথ্যা বলিয়া জানা থাকা সত্ত্বেও, সম্পূর্ণ বা আংশিক বিকৃত আকারে প্রকাশ, বা প্রচার করলে বা সহায়তা করলে তা ওই ব্যক্তির অপরাধ হবে।
৩১ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করে যা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বা অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় তা একটি অপরাধ হবে।
এসব অপরাধে ৩ থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে আইনে।
একটি রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি অপর একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ একটি রুল জারি করেছিলেন। রুলে সরকারকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এ দুটি ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা ব্যাখ্যা করতে বলা হয়।
আবেদনকারীরা হলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ ইসমাইল, মো. কামরুজ্জামান, মো. রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন, মো. আসাদুজ্জামান, মো. জোবায়দুর রহমান, মো. মহিউদ্দিন মোল্লা ও মো. মুজাহিদুল ইসলাম।
২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তারা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন। রিটে বলা হয়েছিল, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ও ৩১ ধারা মত প্রকাশ ও চিন্তার স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
আজ রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী ইমরান এ সিদ্দিক ওই রুলের ওপর যুক্তি উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস কে সাইফুজ্জামান শুনানিতে অংশ নেন।
Comments