গোদাগাড়ীর ইউএনও জান-ই-আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে মামলা

আজ সোমবার রাজশাহীর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ও জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন বিশ্বাস।
গোদাগাড়ীর ইউএনও জান-ই-আলম। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি, ঘুষ গ্রহণ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জান-ই-আলমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

জান-ই-আলমের আইনজীবী রায়হান কবির জানান, আজ সোমবার রাজশাহীর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ও জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন উপজেলার আইনজীবী ও সমাজসেবক সালাহ উদ্দিন বিশ্বাস।

তিনি বলেন, 'আদালতের বিচারক আব্দুর রহিম দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এসব অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।'

মামলার এজাহারে বলা হয়, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে অভিযুক্তরা বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ ও বাড়িতে গবাদি পশুর খামার তৈরি এবং বিভিন্ন জায়গায় জমি কিনেছেন। এছাড়া তারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের জন্য বালু ব্যবসায়ী ও ইটভাটাগুলোর কাছ থেকে বিনামূল্যে নিম্নমানের বালু ও ইট নেন।

এতে আরও বলা হয়, আশ্রয়ণের ঘর নির্মাণের আগেই তারা প্রকল্পের শতভাগ অগ্রগতি দেখিয়েছেন এবং টাকার বিনিময়ে ঘর বিতরণ করেছেন। অনেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ তাদের চাহিদা অনুসারে টাকার জোগান দিতে না পারায় প্রকল্পের ঘর পাননি। দরিদ্রদের সহায়তার জন্য সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি থেকে ১০ শতাংশ কমিশনও নেন অভিযুক্তরা।

গত জানুয়ারিতে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ১১ লাখ টাকা মূল্যের একটি পুকুর খননের কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্ত ইউএনও বাধা দেন বলেও উল্লেখ করা হয় মামলার এজাহারে।

এছাড়া ৮৮টি সরকারি পুকুর ইজারা দিয়ে অর্থ আয় করা এবং অবৈধভাবে অনেককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়। এর পাশাপাশি দরপত্র ছাড়াই উপজেলা কম্পাউন্ডের আমবাগান বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও আনা হয় এজাহারে।

এর বাইরে অভিযুক্তরা বাদীর গাড়িচালককে অবৈধভাবে হয়রানি করে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও জান-ই-আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তদন্ত হলে এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট প্রমাণিত হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমি কোনো অবৈধ সম্পদ অর্জন করিনি। আমার যা কিছু আছে, তা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি।'

Comments