ঢামেক আইসিইউতে চনপাড়ার বজলুর মৃত্যু

বজলু
বজলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

মাদক ও অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ইউপি সদস্য বজলুর রহমান ওরফে বজলু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। 

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান।

হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বজলু রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য ছিলেন। তার বিরুদ্ধে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে 'মাদক ব্যবসা' নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ ছিল।

গত বছর ১৮ নভেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, 'প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের তত্ত্বাবধানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বজলুর রহমান।'

গত বছর বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের মাদক প্রসঙ্গ উঠে এলে আলোচনায় আসেন বজলুর রহমান।

গত সেপ্টেম্বরে চনপাড়ায় এক মাদকবিরোধী অভিযানে র‍্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় করা একটি মামলার প্রধান আসামি ছিলেন বজলুর রহমান।

গত ১০ নভেম্বর র‍্যাবের সঙ্গে কথিত 'বন্দুকযুদ্ধে' গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মাদক ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম শাহীন ওরফে সিটি শাহীন বজলুর অন্যতম সহযোগী ছিলেন।

১৮ নভেম্বর গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও জাল টাকা রাখার অভিযোগে ৩টি মামলা করে। এই ৩ মামলার বাইরেও বজলুর বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকসহ অন্তত ২৩টি মামলা ছিল বলে তখন জানিয়েছিল র‌্যাব।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন বজলুর রহমান। 

জানতে চাইলে জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বজলুর ডায়াবেটিক, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। গত ২৩ মার্চ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সেদিনই ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।'

 

Comments

The Daily Star  | English

'Bangladesh applauds 20% US tariff as ‘good news’ for apparel industry

Bangladesh has welcomed the outcome of trade negotiations with Washington, securing a 20 percent tariff rate on its exports to the US under a sweeping new executive order issued by President Donald Trump.

1h ago