আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযান: ৩ আসামি বেকসুর খালাস

স্টার ফাইল ফটো

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের ঘটনায় অভিযুক্ত ৩ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমীন বিপ্লব এ রায় দেন।

এর আগে গত ১৪ মার্চ আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।

আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের ঘটনার মামলায় অভিযুক্তরা হলেন বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানার বাইশারীর জহুরুল হক ওরফে জসিম, তার স্ত্রী মোছা. আর্জিনা ওরফে রাজিয়া এবং মো. হাসান।

সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি মুমিনুর রহমান বলেন, 'গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সাফাই সাক্ষ্য শেষে ১৪ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর আদালত রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন। এ মামলায় ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।'

২০১৭ সালের ২৩ মার্চ দিবাগত রাত থেকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়িতে আতিয়া মহল নামের একটি ভবনে জঙ্গিবিরোধী অভিযান শুরু করে পুলিশ। পরে অভিযানে র‌্যাব, পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট 'সোয়াট' ও সেনাবাহিনীর কমান্ডো দল অংশ নেয়।

সেনাবাহিনী পরিচালিত 'অপারেশন টোয়াইলাইট' শেষে ভবনের ভেতর থেকে এক নারীসহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

অপারেশন শেষ হওয়ার আগে আতিয়া মহল থেকে কিছু দূরে গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের তৎকালীন প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ ও ২ পুলিশ সদস্যসহ ৭ জন নিহত হন।

আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযান শেষে ৩টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে একটি সন্ত্রাসবিরোধী আইন, একটি বোমা বিস্ফোরণ ও অপরটি হত্যা মামলা।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ তদন্ত করলেও পরে মামলাগুলো পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বোমা বিস্ফোরণ ও হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই, যেখানে মামলা নিষ্পত্তির আবেদন করা হয়।

২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়েরকৃত মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পিবিআই। অভিযোগপত্রে ৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

ওই বছরই চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পৃথক জঙ্গিবিরোধী অভিযানে জহুরুল ও তার স্ত্রী আর্জিনা এবং কুমিল্লার চান্দিনা থেকে হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে আতিয়া মহলের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Police: Equipped to inflict heavy casualties

Police arms records show the brutal truth behind the July killings; the force bought 7 times more lethal weapons than non-lethal ones in 2021-23

18h ago