বিচারপতি আলতাফ-শিবলীর চাকরির পর্যবেক্ষণসহ আপিল নিষ্পত্তি সুপ্রিম কোর্টে

আজ বুধবার নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
২১ আগস্ট, গ্রেনেড হামলা
ফাইল ছবি

বিচারপতি হিসেবে নিয়মিত না করার সিদ্ধান্ত বহাল রাখার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সাবেক অতিরিক্ত বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেন ও ফরিদ আহমেদ শিবলীর করা পৃথক দুটি আবেদন নিষ্পত্তি করেছেন আপিল বিভাগ।

আজ বুধবার নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আজ এ রায় ঘোষণা করেন।

আলতাফ হোসেন ও ফরিদ আহমেদ শিবলী হাইকোর্টের বিচারকের দায়িত্ব ফিরে পাবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট করেনি সুপ্রিম কোর্ট।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণ জানা যাবে।

যেহেতু সর্বোচ্চ আদালত আলতাফ হোসেন ও ফরিদ আহমেদ শিবলীর আপিল মঞ্জুর করেনি, তাই তারা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে ফিরতে পারবেন কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

এদিকে ফরিদ আহমেদ শিবলীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, যেহেতু আপিল বিভাগ আলতাফ হোসেন ও ফরিদ আহমেদ শিবলীর আপিল খারিজ করেনি, তাই এই মুহূর্তে এটা বলা যাবে না যে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে তাদের নিয়োগ না দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বহাল থাকছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, আলতাফ ও শিবলী সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের পর হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে তাদের দায়িত্ব ফিরে পাবেন, যা রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপিতে পাওয়া যাবে।

২০১৪ সালের জুনে সরকার আলতাফ হোসেনকে বাদ দিয়ে হাইকোর্টের অতিরিক্ত পাঁচ জন বিচারকের চাকরি নিয়মিত করে। আলতাফ হোসেন তার চাকরি নিয়মিত না করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেন।

২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টের দুই বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ১০ জন বিচারকের মধ্যে শিবলীও ছিলেন। তবে তাকেও নিয়মিত করা হয়নি।

Comments