৬০ টাকার ট্রেনের টিকিট ২৫০ টাকায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বিক্রি, আটক ১

কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আটক জুয়েল। ছবি: স্টার

ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া পথে চলাচলকারী তিতাস কমিউটার ট্রেনের ভাড়া জনপ্রতি ৬০ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চালিত এই ট্রেনের পরিচালকদের যোগসাজশে ৬০ টাকার টিকিট দীর্ঘদিন ধরে ২৫০ টাকায় কালোবাজারে বিক্রি করা হচ্ছিল।

আজ রোববার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ। এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসাইন তার সঙ্গে ছিলেন।

ইউএনও দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এই জেলার অধিকাংশ লোক তিতাস কমিউটার ট্রেনে করে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করেন। কিন্তু ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে জড়িত স্থানীয়রা অধিকাংশ টিকিট কালোবাজারিদের দিয়ে ৪ গুণ মূল্যে বিক্রি করে। সাধারণ মানুষের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ছদ্মবেশে ধারণ করে তিনিসহ দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভোরে রেলস্টেশনে যান। এরপর ইউএনও তিতাস ট্রেনের চিহ্নিত কালোবাজারি জুয়েলকে ফোন করে টিকিট কিনতে চান। এ সময় জুয়েল ফোনে জানায়, যতগুলো লাগবে তিনি ম্যানেজ করতে পারবেন। টিকিট প্রতি ২৫০ টাকা দিতে হবে। দরকষাকষির পর জুয়েল স্টেশন গেটের সামনে এসে টাকা দিয়ে টিকেট সংগ্রহ করতে বলে। এমন সময় তাকে হাতেনাতে ধরা হয়।

ইউএনও আরও জানান, তিতাস কাউন্টারের বিক্রেতা ফখরুল টিকিট অব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার টিকিটের সমমূল্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-নরসিংদীর মেথিকান্দা স্টেশনের হাতে লেখা টিকিট বিক্রি করছিল। এ সময় তাকেও হাতেনাতে ধরা হয়।

এরপর সেখানে ভ্রমমাণ আদালত পরিচালনা করে কালোবাজারি জুয়েলকে (২৪) দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৯১ ধারায় ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা ফখরুলকে (৫০) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে একই কায়দায় তিতাস কমিউটার ট্রেনের টিকিট কাউন্টারে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। সেসময় ৪ জনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

Comments